বিষণ্ণতার সওদাগর
সমুদ্রের ওপারে আজ
সমূদ্রের এপারে কাল
ঈদ মানে খুশি
খুশিতে ভাসছে সবাই;
খুশি থাকুক যে যেমন-
মনেপ্রাণে চাই সেটাই।
ভাসছে, হাসছে,গাইছেও কেউ হয়তো-
তবে,আমার কাছে ঈদ মানে
আর কোন খুশি নয় তো।
আনন্দ সব ফেলে এসেছি পিছে,
খুশি হওয়া এখন মনে হয় মিছে।
যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
তাদেরসবাইকেই কৃতজ্ঞ চিত্তে বলি-
ঈদ হোক বা খুশি, থাকুক চিরদিন;
আমি না হয় বিষণ্ণতা নিয়েই চলি …
এখন ভাবায়
মৃত্তিকায় আশ্রয় পায়নি আমার ভালোবাসার বীজ
অঙ্কুরোদগম হয়েছিল বাতাসেই, ভেঙেছিল খোলস,
আদ্র আদরের জলকণা তাকে ভিজিয়েছিল কখন
তা আজ আর আমার ঠিক মনে পড়ে না, অথবা
হয়তো মনে পড়ে কিন্তু সচেতনতায় ধরা দেয় না-
তাই তেমন করে সেই ক্ষণ যৌথ স্মৃতিতে ফেরে না।
হয়তো কখনও নক্ষত্রদের কাছে জমা পড়েছে সব
ভালোবাসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, ঈর্ষাজনিত অপরাধ,
হয়তো উদাসীন হয়ে মাথা রাখবার মত সেই কাঁধ
যেথায় একদা মাথা রেখেছিল লুসিফার বা রাসপুটিন
তার কাছে কখনও অগোচরে এসে ফিরে গেছে সেই দিন-
পৃথিবীর তাবৎ ভালবাসা কলুষিত হয়েছিল যেদিন।
এমনও তো হতে পারে, যৌথস্বপ্নের চাষাবাদ করতে
প্রেমময় হয়ে উঠেছিল আফ্রোদিতি কপট শীৎকারে,
হয়তোবা এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যেতে পারে
সে জীবন, যা ছিল আমাদের ভালোবাসার সীমানায়
আর যার বাঁধভাঙা অনুভবের শ্রোত ভাসিয়েছিল তায়-
তার কতটুকু প্রেম ছিল কতটা ভালোবাসা, এখন ভাবায়।