শামীম আজাদ
— কী দেখিতেছ পুরুষ?
— মানুষের বীজ দেখি ভাঙিতেছে মেঘের নূপুর।
— বৃক্ষের অনুরূপে দ্যাখো সব?
— তোমাকে দেখি না নারী
শুধু ঘ্রাণ পাই।
শ্বাসের শব্দ শুনি।
ক্রিস্টাল বিজলিতে রক্ত পোড়ে,
দুধধান আল চিরে মগজের কোষে নেয় ঠাঁই।
আমি চলি গৌরিক মৃত্তিকা চলে
প্রপিতামহ বলিতে চায় তাহারো কাহিনী।
— কী ?
— তুমি যে রূপের অক্ষর।
আমি তার মধ্যে হাঁটি।
আমার আরশ-মোয়াল্লায় জাগে পাললীয় স্তর।আর অক্ষর ডিঙিতে তুলি তার অযুত অসীম।
— কী যেন করিতেছে এখন আমার বুকের ভেতর।
স্ট্রবেরি বাগান আর বকুলের ভুল’তা কী
আগুন রচিতেছে!
-বাগানের সাষ্ঠাঙ্গ প্রণাম মিলিতেছে নারী।
তোমার দু’হাতে এখন অর্জুন বন্দর।
— এ আমার কর্মজীবী রোঁয়া-ওঠা
বৈঠার আঁচড়-পড়া তরকারি হাত।
— এ অনন্য সকাল–জোছনার ফল।
বণ্টন করিতেছ শ্রাবণে কদম্ব বীজ।
- এ তোমারই কণ্ঠহার জলে চন্দনে
পাইতেছে নতুন আকার।
-আর আমি গ্রথিত সে বিন্যাসে
হইয়াছি তোমারই অন্তরক্ষর।।