আসাদ উল্লাহ
পেলো না পেলো না মেয়েটি এক চিলতে পাতাবাহার উঠোন
একফালি রোদে দাঁড়িয়ে স্নান শেষে চুল শুকানো হলো না
বাঁশের আড়ে শাড়ি ঝুলিয়ে হলো না সৌন্দর্য অবলোকন
উলঙ্গ জ্যোৎস্নার মাঠে শোনা হলো না ভালোবাসি সাক্ষী রেখে চাঁদ
কোমর ডোবা ধান ক্ষেতের আল ধরে কতোজন হেঁটে হেঁটে গ্রহণ করেছে প্রেমের স্বাদ
মেয়েটির কিছুই হলো না, কেনো হলো না, কেনো হলো না!
সে কি পাতকিনী ছিলো, সে কি ছিলো কপালকুন্ডলা?
জন্মই কি ছিলো তার আজন্মের অভিশাপ?
মাতৃজরায়ু ছিঁড়ে দুগ্ধ নয়, সে কি মুখে নিয়েছিলো আঁধার?
পৃথিবীতে সে কি ছিলো না কারো, কেউ কি ছিলো না তার?
দোয়েলের ডাক শুনে, কোকিলের গান শুনে ছেড়েছিলো ঘর
কুসুমিত বাগানের সখ থাকে না কার?
মেয়েটি ধবধবে ভাতের বলগের বদলে ঝাউবন ছায়ায় চেয়েছিলো শীতল চোখ
এক তোড়া গোলাপ হাতে চেয়েছিলো অপেক্ষার মধুর দহন
চেয়েছিলো কেউ একজন খোঁপায় গুঁজে দিক কদমের দুটি ফুল
নাকের ঘাম সরিয়ে প্রিয় প্রেমিকের চুম্বনচিহৃের সাধ ছিলো তার।
ভালোবেসে মেয়েটি হলো নিজেরই নিজের সর্বনাসী
ভালোবেসে মেয়েটি পেলো শ্যামের বদলে মরণের বাঁশি।