দরজা খুলে যেই বাইরে আসি,
ওই কাকটাও উড়ে আসে, ডানা ঝাপটায়
আমি শুনতে পাই অস্পষ্ট রাতের পায়ের শব্দ —
আর কাকটার ডানা থেকে খসে পড়ে সকাল;
আমার উর্দ্ধমুখী চোখের পাতা হয়ে যায় গুটানো গালিচা,
জলের ভেতরে হ্রেষাধ্বনি চমকে কথা বলে আরেক জন্ম —
কুয়াশার দরজায় আমার হাতের ছাপ আর নেই !
ক্রমশঃ ডুবে যেতে থাকি হলুদ দানী -মশলাদানীর নিপুণ খেয়ালিপনায়–
মাঝে মাঝে ব্যালকনি দিয়ে উঁকি মেরে দেখি
কাকটির অবয়বের ছায়া জলসত্র জলসত্র বলে ডাকে;
এই একশ একটা সিঁড়ির প্রাত্যহিক ভ্রমণে
টুকরো টুকরো সংসারের মধ্যে আগাছার আবিস্কার হয়
যখন চায়ের জলে ফুটতে থাকে নখ খোঁটা সময় —
আমি নিখুঁত রাধুনী, আমিষ নিরামিষ ব্যঞ্জন নিয়ে
সাজিয়ে রাখি টেবিলে পরতে পরতে,
হঠাৎ কাকটি উড়ে এসে বলে—সবই তো হলো,
তোমার নুন কই, নুন!
দুরন্ত সীমানা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া শব্দের অলিন্দে।
খুব ভালো লাগলো কবিতা টি। শুভেচ্ছা