আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার যে অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন তাৎক্ষনিকভাবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব স্থগিত করা হয়েছে। আগামী রোববার সকালে পুনরায় পার্লামেন্টের অধিবেশন বসবে।
পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী কখনোই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেননি এবং ইমরান খান ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি তার শাসনামলের সবচেয়ে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। বিরোধিরা তাকে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং পররাষ্ট্র-নীতির বিপর্যয়ের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
সরকার পাকিস্তান তালেবান জঙ্গিবাদের নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। তারা বুধবার রমজান মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।
খান তার রাজনীতিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি একটি বার্তা’র উৎস হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন,আমি বলতে চাচ্ছি একটি বাইরের দেশ থেকে, আমরা একটি বার্তা পেয়েছি।
ইমরান খান তার ভাষণে বলেন, আমি শেষ পর্যন্ত খেলে যাব । ফলাফল যাই হোক না কেন, আমি পদত্যাগ করবো না।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে, বার্তাটি ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের রেকর্ড করা একটি ব্রিফিং চিঠি। এতে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা তাকে বলেছেন যে তারা মনে করেন খান ক্ষমতা ত্যাগ করলে সম্পর্ক আরও ভাল হবে।
তিনি বলেন, তারা বলেছে যে ‘ইমরান খান এই অনাস্থা ভোটে হেরে গেলে আমাদের ক্ষোভ কেটে যাবে’।
ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।
প্রাইস বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনকে শ্রদ্ধা জানাই ও সমর্থন করি।’
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম