পদব্রজে রাজশাহী যাব
আমার একটা ইচ্ছা ছিল- পদব্রজে রাজশাহী যাব
ওখানে আমবাগান আছে, কয়েকটা লিচু গাছ
আছে পদ্মার তীর, একটা শান্ত নৌকা আর তুমি
হাঁটতে একটু কষ্ট হতে পারে, পায়ে তাই কেডস পরে নেব
ব্যাকপ্যাক থাকবে কাঁধে, তাতে কিছু শুকনো খাবার
পানির বোতল…সন্ন্যাসীরা যেভাবে যায় আমিও সেভাবে যাব
কাউকে বিরক্ত করব না
মাঝে মাঝে থামতে হবে পথে
হোটেলে-মোটেলে রাত পার করে দেব
কিন্ডলেতে বই পড়া যায়, কিন্তু চার্জ দেব কোথায়
সবচেয়ে বড় কথা আমারতো কিন্ডলেই নেই
জামিলের আছে, থাক
তারচে আমি বরং একটা বই নেব- কবিতার
কিছু ক্যাশ ক্যাপিটালও নেব, ক্রেডিট কার্ডও আছে সঙ্গে
কিন্তু পথে বুথ থাকবে তো?
মাঝে মাঝে দেখে নেব ম্যাপ, যদিও রাস্তা সহজ, তবু
একে তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নেবো
আর কতদূর
আমবাগান, লিচুগাছ, কলতলা, পদ্মার পার, নৌকা
যেখানে যেখানে থামব রাতে
সেসব জায়গা থেকে তোমাকে চিঠি লিখতে পারি
কী দেখলাম, কতদূর এলাম, এখানে রাতটা কেমন
অথবা ডায়েরিও লেখা যায়
কিংবা কোনটাই করব না
সব কথা জমে থাকবে মনের ঝোলায়
তোমার ওখানে গিয়ে স্নানাহার সেরে
চায়ের পেয়ালা নিয়ে
একটু একটু করে গল্প করব
অলস দুপুর, রাত, রাতের গভীরে
আকাশে খইয়ের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেবো
গল্পগুলি- যাত্রা পথের
ঘুম ভেঙে জ্যোত্স্নারা নক্ষত্রবাড়ি থেকে চলে আসবে
আমাদের ঝুলবারান্দায়
কিংবা হয়তো এসবের কিছুই হবে না
হবে না হবে না হবে না হবে না…
কারণ এখনো আমি যাত্রাই করিনি
কারণ করব করব করেও সেই কবে থেকে বারোভাজা কাজে, আবর্জনায়
আর এর-তার লতায় পাতায় জাপটে থেকে থেকে
যাত্রার কথা ভেবে ভেবে কেবলই ঘুমিয়ে পড়ি
আর একটা প্রগাঢ় স্বপ্নের শেষে আমি দেখতে পাই
আমার দুই পা আমূল প্রোথিত এই ছাতার শহরে।