তপতী চক্রবর্তী
নতজানু তরুলতার সজীবতা,
আষাঢ় -গগনে ঘন ঘটা ,ওড়ে স্মৃতির পাতা।
এমন দিনে কে কাকে বলেছিল
যে কথা হৃদয়ে লুকানো ছিল !
কে দরজায় কড়া নেড়ে যায় ,
এ ঘনঘোর বরিষায় ।
মাটির গন্ধে যখন বৃষ্টির আভাস
অবুঝ মনের তখন ব্যর্থ প্রয়াস ।
টিনের চালের বৃষ্টিতে,
নববধূর লজ্জাবনত দৃষ্টিতে,
যে সুখ ছিল লুকিয়ে ,
আজকের বর্ষণ কেন সব দেয় চুকিয়ে ?
কত কথা কানে বাজে,
মন লাগেনা কোন কাজে ।
সারাদিন ঝরঝর বৃষ্টি ধারা
জানি ,মেঘের আড়ালে লক্ষ তারা।
সবই তো একই আছে ,
যেমন ছিল তপনহীন গগন।
তবু কেন ভরা বাদলে শুষ্ক কানন?
গোধূলিতে ভেংচি কেটে
মেঘের দলে যাওয়া
আর ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে নাওয়া।
আমকুড়োনোর ছেলেবেলা,
কিংবা বৃষ্টিস্নাত অলস দুপুর বেলা
সবই কেন নিষ্প্রভ -নিষ্প্রাণ ?
বর্ষার কদম কে কাকে করেছে দান !
একাল-সেকাল জুড়ে আছো তুমি যখন,
আনমনা হয়ে চলে স্বপ্নবুনন ।
রূপে রসে আছে তোমার অদ্ভুত মাদকতা ।
তোমার পরশে কাটুক সকল বিষন্নতা ।
ঝিরিঝিরি সারাদিন ঝর তুমি বাদল
শুষ্ক পৃথিবীকে পেতে দাও স্নেহের আঁচল।
তোমার পরশে সবে খুঁজে শান্তির বারতা
বসন্তরাজের চোখেও একি আকুলতা!
অনেক হয়েছে,এবার থামাও তোমার বর্ষণ।
বন্যায় প্লাবিত দেশ,দূর্ভোগে আছে জনগণ
যুগে যুগে সবে করে তোমার বন্দনা,
আপনি স্বরূপে হয়ে থাকো তুমি অনন্যা।