ক্রান্তিকাল
নৈঃশব্দ্যের সংযোগ ভেঙে যাবার পর
তুমিও কেঁদেছ অনেক চুপিচুপি একান্ত স্বরে
যেখানে যাত্রা ছিল সহজ এবং অতিক্রমযোগ্য
সেখানে তন্ত্রজাল কে বিছাল
কেইবা কেটে দিলো বৃক্ষের টান টান দেহ।
উৎসে পৌঁছতে পারি না তাই বদনাম করি
টানা বারান্দায় দাঁড়িয়ে, গোল হয়ে অথবা
চেয়ার টেবিল পেতে মুখোমুখি,
টোল পরা বৃত্তের কাঁধগুলো চেনা যায়
কারণ পরস্পর পিঠ দেখালে তবেই না
জমাট বাঁধে ক্রান্তিকাল।
আর যারা মাটি খুঁড়ে মন্ত্রণা ভাঁজে
তাদেরই একজন ধারাল তর্কের মাঝে
ঝাঁপ দেয়,
আত্মঘাতী তরুণ আকাশ ছোঁয়া আনন্দ খুঁজতে
নেমে গেল পরবর্তী স্টেশনে,
সকলে বাহবা দিয়ে শোকযাত্রার আয়োজন করে
আর তুমি নীলধান দু’চোখে বুনে দৌড়ে চলে গেলে
রিক্সা চেপে।
রেখা
হাতের তালুর রেখা অনেকেই পাঠ করে
বুঝতেও পারে কেউ কেউ
আমি অবশ্য তাদের দলে নই
হাতমুঠি ভাজ করাই আমার রেখার কাজ
তবু কেউ বলে ওঠে, আশ্চর্য হদয়রেখা তো !
হাতের রেখার গল্প দেখেশুনে জেনে গেছি
আমাদের যুগে এসব গালগপ্প যত
তবুও কারও কারও কেরামতি, অভূত উত্থান
আমাকে বিস্ময়ে ফেলে, অবাক আমি
অজান্তেই বলে উঠি, আশ্চর্য ভাগ্যরেখা তো !
অথচ জন্মটানে টান টান পড়ে আছি বেহদ্দ
অগোছালো চারদিক বৈষয়িক ঘরে
যত না বসবাস তারচে’ হাঁসফাঁস বেশি
ক্রোধ আর ঘূর্ণির সমূহ বিস্তারে
নির্লিপ্ত বলে উঠি, আশ্চর্য আয়ুরেখা তো !