ডেস্ক রিপোর্ট : জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ৮ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক আবুল বাশার। অপর দিকে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে ১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ডা. মো. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
জামায়াতের আমিরের ছেলে গ্রেফতারকৃত ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক। তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই মামলায় ডা. মো. শফিকুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদের উদ্দেশ্যে রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ডা. রাফাত। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।
গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২)।
তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। গত ৬ নভেম্বর তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে গ্রেফতার তিনজন ডা. রাফাতসহ অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট এলাকা থেকে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম