ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি আমি এই পৃথিবীরে রোজ।
বিকেলের শান্ত প্রস্থানে, চুপ চোখে চেয়ে দেখি
চিকন সবুজ ঘাস আধো ঘুম চোখে
এলিয়ে দিয়েছে শরীর তার, মাটির শয্যায়।
শিশুর কোমল মুখের মত মনে হয় পৃথিবীরে
নিবিড় সন্ধ্যায়! খুব করে মনে হয় –
মাঝ বয়সী কৃষাণী বধুর মত ক্লান্ত শান্ত সে!
কাজল টানা চোখ তার, চেয়ে থাকে
সিঁদুর সন্ধ্যায়, অতিদূর মেঘের ভেলায়।
দেখি তার রূপ চুপচাপ চুপ চোখে চেয়ে।
এই পৃথিবীরে দেখি আমি হাতের তালুতে রেখে,
দেখি, উত্তাল রোদের ঝিলিক পড়ছে গলে
কৃষ্ণচূড়ায়, পলাশ, অশোক, শিমুলে।
দেখি হাঁসের কোমল মন্থন, লক্ষী পুকুর জলে।
এই পৃথিবীরে খুব করে দেখি-
হেঁটে হেঁটে, শিশির চুম্বন মেখে দিগন্ত ওপারে যেয়ে!
দেখি, নিশ্চুপ গাছেদের ঘুম, হিম কুয়াশায় ভিজে।
এই পৃথিবীর বুকে জীবন মৃত্যুর আসা যাওয়া
দেখি আমি। দেখি বাতাসের বুকে করে
যাচ্ছে উড়ে ধূসর পাতা! করুণ মৃত্যু মিছিলে!
আহা কী করুণ ক্রন্দন ঠেস দেয় পৃথিবীর বুকে!
রেলের হুইসেল বাজে, চলে শব্দহীন দীর্ঘশ্বাস!
মৃত নগরীর দিকে যায়, স্বপ্নের খিলান গম্বুজ,
পদচিহ্ন সব খয়ে যায়, বুক চাপা গুমোট আর্তনাদে।
কে রাখে খোঁজ? মৃত নগরের সিংহদুয়ার বুঝি আছে
পৃথিবীর কোল ঘেষে, বরফ কৈলাসে, কোনখানে!
কোন গিরিপথ ধরে আসে নেমে অস্থির জীবন-
মরণ নিগড়ে বেঁধে জীবন মন্থনে? তারে খুঁজি রোজ,
এই পৃথিবীতে, জীবন মৃত্যু নাচে রোজ, দেখি তারে,