ডেস্ক রিপোর্ট : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর নম্বর মহাবিপদ সংকেত; চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ০৮(আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ০৪(চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ১৫তে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরে পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামীকাল রবিবার দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে অর্থাৎ আমাদের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি বর্তমানে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সকাল থেকে জেলার ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য দুর্যোগ উপেক্ষা করেও কাজ করে যাচ্ছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে জেলায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ তেমন নাহলেও সন্ধ্যা নাগাদ ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যাবে বলে স্থানীয় আবহওয়া অফিস জানিয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস প্রধান আবদুর রহমান জানান, গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এটি আজ শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম