এই আমি পিতামহের
আগুনের পাশে
দাঁড়ালাম।
সব পিতামহই ভীষ্ম।
সকলের জীবনেই শরশয্যা।
পৃথিবীর সব মহাযুদ্ধ
কাল রাত্রির গভীরে —সেখানে
স্বপ্ন নেই।
তখন দেবতাগণ ঘুমিয়ে
থাকেন, তাই কেউ কারো
চোখের জলের ধারা
দেখতে পায় না।
কেউ কারো বুকের শব্দ
শুনতে পায় না।
তখন গান গীত সংগীত
অবচেতনে থাকে ঘুমিয়ে
পড়ে।
দক্ষিণায়নে প্রতিটি মানুষ
যেন ব্যাধ।
সকল ধরিত্রীর
পুত্রকন্যারা নিদ্রাহীন,
অবচেতনে একে ওপরে
হত্যা করতে চায়।
ঘৃণা চায়।
রিরংসা চায়।
জিঘাংসা চায়।
দুটি হাত অস্ত্রে ভরে
গেলে অস্ত্র দখল করে
মগজ ও বুক।
হাতগুলি তখন নিজের
বুক ছুঁতে পারে না।
যে হাত নিজের চোখের
জল মুছতে পারে না, সে
ভীষণ নিষ্ঠুর।
যে চোখে জল নেই, সেই
চোখ কেবলই আগুন,
যুদ্ধভূমি।
পিতামহ এই ছাপান্ন দিন
শেষ শয্যায় ছিলেন।
এবার তিনি পুরনো
পোশাক ছেড়ে দিলেন
আমাকে পরিয়ে দিলেন
প্রাক্তন প্রেমের উত্তরীয়।
এখন চারিদিকে যুদ্ধের
ইনকিলাব—অস্ত্রের
স্লোগানে
যুদ্ধক্ষত দেশগুলোকে
পিতামহ ভীষ্ম মনে হয়।