মাহফুজ রিপন
মাছের খালুই দেখলে ইলিশের কথা মনে পড়ে
মা উঠানে পাট নাড়লে আমি খাতায় ইলিশ আঁকি।
শৈশবে বাবার আঙুল ধরে মাছবাজার ঘুরেছি কত!
ইলিশের দোকানের সামনে অভিমানী বালকের-
গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকা; বরফ গলা জল।
আমাদের জীবন সেই দিন থেকে ত্রিভূজ হয়ে গেছে-
সোনালি পাটের সাথে ইলশে প্রেম বহুবছর পুরনো।
সারাদিনের রোদে পোড়া পিঠ সন্ধ্যায় চুলোর পিঠে
‘অন্ধকারে হালটদিয়া কে যায় কোন ভাইজানে?
আমাগো চিনবেন না বুজি, কাওয়ালদিয়ার মানুষ’
‘ও মিয়া, ইলিশের দাম কেমন গেল এই হাটে?’
‘চড়া দাম গো বুজি, আমাগো কি কেনার জো আছে?’
ইলিশের বন্দনা করি কশিটানা খাতায়
বুজির রান্ধন ভালো, সরিষার বাগার দিলো
বাজান কেশেই সারা আমি হেসেই মরা।
ইলিশের ছালুন পাতে আউশের ভাত
ডিমগুলো দো-পেয়াজা, কাটে শিশুরাত।
দু-চোখে আঠা ঘুম, বুজি হাত ধরে টানে।
ইলিশের ঘ্রাণে হঠাৎ মিউ মিউ ডাকে-
হাত ধুঁই মুখ ধুঁই দোঁয়াশের সাবান।
বাবা নাই বুজি নাই বিরান উঠান
সেই থেকে হারিয়েছে ইলশের ঘ্রাণ।