আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুরোধের পর দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বিবিসি উর্দু এ খবর জানিয়েছে।
এর আগেই অনাস্থা ভোট নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
নিয়ম অনুযায়ী নব্বই দিনের মধ্যে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হবে। এই সময়ে অবশ্য ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সোমবারই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ওই প্রস্তাবের বিষয়ে ভোটাভুটি করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেছেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাবটি সংবিধান সম্মত নয়।
ভোটাভুটি হলে ইমরান খান হেরে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে তাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিবিসির সংবাদদাতা সেকেন্দার কেরমানি জানান,পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইমরান খান ক্ষমতায় এসেছিলেন বলে মনে করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে পর্যবেক্ষকরা বলছেন।
তার রাজনৈতিক বিরোধীরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। তার জোট সরকারের বেশ কয়েকজন সহযোগী বিরোধীদের দলে যোগ দিয়েছে।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ জন এমপির সমর্থন পেতে হবে। এর মধ্যে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের আসন সংখ্যা ১৫৫, তার সাথে আরো আছে তার কোয়ালিশন অংশীদারদের সমর্থন। পরিষদে মোট আসনসংখ্যা ৩৪২টি।
অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগ সহ পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলোর মোট আসন সংখ্যা হচ্ছে ১৬৩।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকারকে অনাস্থা প্রস্তাব পাবার সাত দিনের মধ্যে ভোটাভুটি করতে হয়।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম