ডেস্ক রিপোর্ট : ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর তীরে অলিভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ জাহাজের ভেতরেই ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক পীযুষ দত্ত চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাহাজটিতে নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ারসহ এখনো ২৮ জন অবস্থান করছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এ মুহূর্তে জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যাওয়া নিরাপদ নয়।
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাইকে জাহাজে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পীযুষ দত্ত জানিয়েছেন, জাহাজটিতে এক মাসের খাদ্য মজুত রয়েছে।
বিবিসি জানায়, গতকাল রকেট হামলায় জাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল, কিন্তু জাহাজের ক্রুরা দ্রুত সেই আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা গেছেন।
বাংলার সমৃদ্ধি নামের এই জাহাজটি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে আটকে পড়ে।
মাত্র দুদিন আগে জাহাজের একজন নাবিক বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশে ফিরে আসার জন্য তাদের তীব্র আকুতির কথা জানিয়েছিলেন।
এদিকে কূটনৈতিকভাবে ইউক্রেনে জাহাজে আটকেপড়া জীবিত ২৮ নাবিককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সবিচালয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গত ২৬শে জানুয়ারি এটি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে এবং তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২২শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছায়।জাহাজটি বন্দরে পৌঁছানোর পরদিন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম