যখন নেমেছে সন্ধ্যা
শৈশবের নিখাদ আনন্দে–
শুধু খেলা করে আনন্দ।
ওরা লুকোচুরি জানে না,
হারায় না ডুব সাতারে ক্ষণে ক্ষণে।
ছোট ছোট পাওয়াগুলো–
বড় হতে হতে এক আকাশ জুড়ে যায়।
বিচার বুদ্ধির উন্মেষে–
আকাশের বিস্তৃতি হাতের মুঠোয় বন্দী যেদিন—
আনন্দ আপন আঁচল গুছিয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রায় পা বাড়ায়।
কতশত অনাসৃষ্টি লতায় পাতায় জড়িয়ে—
সুখের উল্লাসের টুঁটি ধরে অকপটে কাঁদায়।
জীবনের কাঠি দৌড়ে কখন হাতের মুঠি আলগা হয়ে—
খসে পড়ে কাঠি।
দুরন্ত সময়ের ঘোড়া ভার বইতে বইতে—
শ্রান্ত, ক্লান্ত, বিবশ দেহে উঠে দাঁড়াতে চায়,
ছুটতে চায় আরো একবার।
বিধিবব্ধ নিয়মে তার পায়ের শৃঙ্খল বাজে ঝনঝনিয়ে—
ঘোড় দৌড়ের মাঠে নেমেছে যে সন্ধ্যা।
গ্রাস
অবিরাম মৃত্যুর হাতছানি–নীল হয়ে যায় সাদা মানুষটি–
বুকে শোণিত ক্ষরণ।
অক্ষম-অসহায় সে–
তাই বুঝি জান্তব পদাঘাতে–
দলিত-খন্ডিত দেহ -মন।
মৃত্যু গ্রাস করে —
অজগর সাপের মতন।
পালাও-পালাও ভালো মানুষ পালাও–।
কিন্তু কতদূর?
ভয়াল অজগর -দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
দেবতা থেকে দানব হয়েছে সে–
স্বেচছাচারী হাতে নিয়েছে–
লক্ষ মানুষের ভাগ্য।
উন্মত্ত পেশীদানব ছোটে–
ঐশ্বর্য সন্ধানে–
রচিত হয় শৃঙ্খলিত মানুষের কবর।