লুৎফুল কবির রনি:
”ওদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমার প্রিয় এম-২ রাইফেলটা অকেজো হয়ে গেছে। তবে আমার পরাজয় মানে এই নয় যে, বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। এভারেস্ট বিজয়ের অভিযানেও অনেকে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আজ মানুষ জয় করেছে। ফিদেলকে বলো আমার মৃত্যুতে বিপ্লব পরাজিত হয়নি। বিপ্লবের মৃত্যু নেই। শোষিত মানুষের জয় অনিবার্য। পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ একদিন ধ্বংস হবেই।
চে’…..
চের কথা বলতে গিয়ে নোবেলজয়ী দুই কিংবদন্তি সাহিত্যিক জ্যঁ পল সার্ত্রে ও গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের কথা মনে পড়ে। বিশ শতকের জগদ্বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক, সাহিত্যে নোবেল জয়ের পরও যিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, সেই সার্ত্রে বলেছিলেন:
“আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ মানুষটির নাম অ্যার্নেস্তো চে গেভারা।”
প্রয়াত কলম্বিয়ান সাহিত্যিক, স্প্যানিস ভাষার সর্বকালের সেরা ঔপন্যাসিকদের একজন মার্কেজের উপলব্ধি ছিল:
“আমি হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখতে পারি শুধু চেকে নিয়ে।”
আর্জেন্টিনার ‘বুয়েনোস আইরেস’ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ণরত একজন অতি সাধারন মানুষ শেষ বর্ষে এসে যখন বন্ধুর এক ডাকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে চেঁচিয়ে বলে ফেললো – ‘ছুটলাম’, সাথে আরও কত নানান সামাজিক দায়ভার ও দেয়াল ভেঙ্গে যেদিন ঐ পেডরোসা-২ মোটর সাইকেলটায় তিনি চড়ে বসলেন, আর চোখে সমগ্র ল্যাটিন আমেরিকা ঘুরে বেড়াবার দাবি যখন টলমল, তখন কে ভেবেছিলো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চতুর্থ বর্ষের ছাত্রই সারা বিশ্বকে তখনই বুনছিলেন তিনি তাঁর নিজের মতন করে।
কে ভেবেছিলো এ ছাত্রই, মানে ‘আরনেস্তো গুয়েভারা দি লা স্যেরনা’ হয়ে উঠবেন চির রোমান্টিক, আদর্শিক, স্বপ্নবাজ, রঙ্গীন এক চিরবিপ্লবী গেরিলা ‘আরনেস্তো চে গুয়েভারা’। আজ কোটি মানুষের বুকের ভেতর এবং বাহির উভয় অংশেই ভেসে ভেসে ওঠে চে গুয়েভার বিখ্যাত সেই মুখ।
সমগ্র দক্ষিন আমেরিকার ধুলো, সমুদ্ররে নীল জল, রাশি রাশি প্রেম, শহরের আনন্দ, তার ভিন্ন বৈচিত্র, মানুষের উজ্জ্বল হাসি হাসি মুখ, একি সাথে গভীর ভাবে ঢাকা কিছু পর্দার বাইরের গল্প, সাথে কান্না, কুষ্ঠ রোগ, ঘৃণা না করায় বিস্মিত মানুষ, ল্যাটিন আমেরিকায় পুঁতে রাখা অভিশাপ, মাথা নিচু মানুষের অপমান, পুঁজিবাদী মতলব, অশিক্ষা, কুশিক্ষা সব মিলেয়ে ৮০০০ কি.মি. শুষে নিয়ে ছিলেন তিঁনি।
আর এ যাত্রায় তার সঙ্গী ছিলেন সেই বিখ্যাত ডাকওয়ালা বন্ধু ‘আলবার্তো গ্রানাদো’। তাঁর ওই বিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চেরিয়াস ডাকে চে গুয়েভারা তার পৃথিবী আবিস্কারের ক্ষুধায় তৃপ্ত হতে গিয়ে একে একে সন্নিকটে যেতে থাকেন দারিদ্রতা, রোগ এবং ক্ষুধার।
তিনি ভাবেন “Let the world change you and you can change the world”। হয়ে ওঠেন চিকিৎসক থেকে যোদ্ধা, ফের বিপ্লব, ফের বিপ্লব, ফের বিপ্লব। হয়ে ওঠেন এক অনুপ্রেরণার বীজ, এক বুক সাহস, ভালবাসার মানুষ, একজন পবিত্র মানুষ। শুদ্ধ এক পৃথিবীতে বাস করতে চাওয়া সকল মানুষের চোখে এ কথা সত্য।
পেডরেসো- ২ তে চড়ে সেই ল্যাটিন আমেরিকা জয় করার উদ্দ্যেশে বেরিয়ে পড়ে তিনি নিজেই উপলব্ধি করেন যে বিপ্লবই পারে মানুষকে তার প্রাপ্য মান ফিরিয়ে দিতে। বিপ্লবই পারে এই পৃথিবীতে মর্যাদা সমেত উন্নত মানুষ হয়ে সত্যিকার অর্থে বেঁচে থাকার আনন্দ। চে গুয়েভারা হয়ে ওঠেন বিপ্লবী চেতনার উজ্জ্বল নক্ষত্র।
এর্নেস্তা চে গুয়েভারা তার ইস্পাত কঠিন বুকের একধারে যেমন বয়ে চলেছে বিপ্লবের স্রোতধারা ঠিক অপর পাশের জায়গাটি ছিলো সাহিত্যের বিশেষ করে কবিতার দখলে। কিশোর বয়স থেকেই কবিতার প্রতি চে-র প্রবল আগ্রহ ছিলো। সে সময় তিনি কবিতা লিখতেন। স্কুল জীবন থেকেই কবিতা মুখস্ত করে আবৃত্তি করা তার নেশায় পরিণত হয় যা তার মৃত্যু অবধি জারি ছিলো। চে শোয়ার ঘরে একান্তে স্ত্রী আলিয়েদা মার্তেকে কবিতা আবৃত্তি করে শোনাতেন। হাভানা থেকে শেষবারের মতো চলে যাওয়ার সময় চে তার প্রিয় ভালোবাসার কবিতাগুলো আলিয়েদার জন্য টেপ রেকর্ডারে স্বকন্ঠে আবৃত্তি করে রেখে গিয়েছিলেন। সে কবিতাগুলোর মধ্য অধিকাংশই ছিলো পাবলো নেরুদার কবিতা। আসলে চে, বিপ্লব আর কবিতা একে অপরের সাথে মিশে চে-কে করে তুলেছিলো একজন সম্পূর্ণ মানুষ। জ্যঁ পল সার্ত্রে হাভানাতে চে-র সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে একজন সম্পূর্ণ মানুষ আখ্যা দিয়েছিলেন।
‘আবার আমি পথে নেমেছি।···অনেকেই হয়তো আমাকে অ্যাডভেঞ্চারার বলবে। আমি তা-ই, তবে একটা পার্থক্য আছে। আমি সেই ধরনের অ্যাডভেঞ্চারার, যে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নিতে পারে।’
বাবা-মাকে লেখা চে-এর চিঠি, অক্টোবর, ১৯৬৫
বন্ধু তুমি কিউবায় আছ । আমি অন্যকোনো যাই । ক্যাস্ট্রোকে এভাবে বিদায় জানিয়ে একদল সাথী নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল চে ,আতঙ্কে কেঁপে উঠল উত্তর আমেরিকার বিশ্ব পরাশক্তির শাসকেরা । এক জীবন মানুষকে ভালোবেসে যে লিখে গেল মুক্তির গান ।
চে বিপ্লবের প্রয়োজনে ছুটে গেছেন গুয়াতেমালা, কিউবা, পেরু, কঙ্গো, কোস্টারিকা, ইকুয়েডর, পানামা, এল সালভেদর, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম এবং বলিভিয়ায়। আর এই বিপ্লব সংগঠিত করতে গিয়ে ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর মার্কিন সমর্থনপুষ্ট বলিভীয় সেনাবাহিনীর হাতে আহত অবস্খায় বন্দি হন ৮ চে গুয়েভারা।
চে যখন সেনা বাহিনীর হাতে বন্দী তখন ফেলিক্স চে-র বন্দীশালায় প্রবেশ করে তার মৃত্যুদণ্ডের সংবাদ দেয়।
চে শুধু বলেন আমার জীবিত ধরা পড়া উচিত হয় নি। ফিদেলকে বল সমগ্র আমেরিকায় সে নতুন বিপ্লবের যাত্রা দেখতে পারবে, আর আমার স্ত্রীকে বল, সে যেন আবার বিয়ে করে সুখী হয়।
বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারার জীবনের শেষ কথা ছিল, ‘গুলি কোরো না। আমি চে গুয়েভারা। মৃত চে গুয়েভারার চেয়ে জীবিত চে গুয়েভারা তোমাদের জন্য বেশি মূল্যবান।’
ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ত্রাস চে গুয়েভারাকে হত্যা করা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেই এ তথ্য জানানো হয়।
হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাত থেকে নিজের রাইফেল খসে পড়লে বলিভিয়ার জঙ্গলে আত্মসমর্পণে বাধ্য হন চে। ।’
আমেরিকার সরকার তাঁকে জীবিত অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বলিভীয় নেতৃবৃন্দ তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রকাশ্যে বিচার হলে তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের সমবেদনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সরকারি ভাষ্য ছিল, তিনি যুদ্ধকালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
কয়েক বছর পর রদ্রিগেজে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘আমি সরাসরি তাঁর চেহারার দিকে তাকালাম। তিনিও সরাসরি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “এটাই ভালো। আমি কখনোই ভাবিনি, আমি জীবিত অবস্থায় ধরা পড়ব।”’
দুজনেই করমর্দন করলেন। রদ্রিগেজে জানান, তিনি আমার সঙ্গে আলিঙ্গন করলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে আলিঙ্গন করলাম। কিন্তু আসার সময় জনৈক সৈন্যকে চে গুয়েভারার ঘাড়ের নিচে গুলি করার জন্য নির্দেশ দিয়ে চলে আসেন তিনি।
ডায়েরিতে লিখেছিলেন কমান্দান্তে চে, ‘আমি ভাবতে শুরু করি, মরে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ পথ সেটাই, যখন মনে হবে সব শেষ হয়ে গেছে। জ্যাক লন্ডনের একটি পুরোনো গল্প মনে পড়ছে। তাতে গল্পের মূল চরিত্র একটা গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে গরিমার সঙ্গে নিজের জীবনের সমাপ্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
শত্রুসৈন্যদের সঙ্গে সারাটা বিকেল যুদ্ধ করার পর গুলি লেগেছিল চের পায়ে। আরেক গুলিতে ছিটকে যায় হাতের অস্ত্র।
চে গুয়েভারাকে গোপনে গণকবরে সমাহিত করার আগে বলিভীয় সৈন্যরা তাঁর হাড্ডিসার দেহ ভ্যালেগ্রেরান্ডি নামের একটি গ্রামে নিয়ে যায়। মরদেহটি একটি হাসপাতালের লন্ড্রির সিঙ্কে রাখা হয়। এ সময় ফটোগ্রাফাররা তাঁর যেসব ছবি তোলেন, তা পরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বলিভীয় সেনা অধিনায়ককে বলা হয় তাঁর দুটি হাত কেটে রাখতে। যাতে কর্তৃপক্ষ তাঁর আঙুলের ছাপ নিতে পারে এবং প্রমাণ হিসেবে ফিদেল কাস্ত্রোকে দেখাতে পারে যে তাঁর বন্ধু এখন মৃত।
নিশ্চিতভাবে বলা যায়, চে গুয়েভারার মৃত্যুর খবর সঙ্গে সঙ্গে নয়, কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রে আসে। প্রেসিডেন্ট জনসনের উপদেষ্টা ওয়াল্ট রোসটো ১৯৬৭ সালের ১৩ অক্টোবর একটি সংক্ষিপ্ত স্মারকপত্র লেখেন, ‘সব ধরনের সন্দেহ দূরীভূত করে বলা যায় যে চে গুয়েভারা মৃত।’
১৯৬৭ সালের ১২ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল: ‘গুয়েভারা’স ডেথ, দ্য মিনিং অব ল্যাটিন আমেরিকা’। এতে গুয়েভারাকে কিউবা বিপ্লবের সুদক্ষ রণকৌশলী ব্যক্তিত্ব ও বিপ্লবের আদর্শ হিসেবে প্রশংসা করা হয় এবং তিনি বীরোচিত মৃত্যুবরণ করেছেন কলে উল্লেখ করা হয়।
১৯৬৭ সালের অক্টোবরে চের মৃত্যুসংবাদ পৃথিবী জানতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা তখন লিখেছিল, ‘একজন মানুষের সঙ্গে সঙ্গে একটি রূপকথাও চিরতরে বিশ্রামে চলে গেল।’ কথাটা সত্য হয়নি। কমরেডের মৃত্যুর পর কিউবায় লাখো জনতার সামনে আবেগঘন কণ্ঠে ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, যারা মনে করছে, চে গুয়েভারার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর আদর্শ বা তাঁর রণকৌশলের পরাজয় ঘটেছে, তারা ভুল করছে।
চে গুয়েভারার মৃত্যুর এত বছর পরও দেশে দেশে বিপ্লবীদের আজও প্রেরণার উৎস চে গুয়েভারা।
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস বলেছেন, ‘চে-র জন্য কান্নার সময় এখন নয়, বরং এখন সময় হচ্ছে শক্তি সঞ্চয় করে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামকে আরও বলীয়ান করে তোলার। চে হলেন সেই সংগ্রামেরই একটি অংশ, সামরিক একনায়ককে মোকাবিলা করতে যিনি অস্ত্রধারীদের কাছ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনায় ব্রতী হয়েছিলেন।’
বলিভিয়ায় চে-র অরণ্য যোদ্ধাদের অভিযান আগাগোড়াই ব্যর্থ ছিল বলে যাঁরা দাবি করে থাকেন, তাঁদের সেই দাবি এখন ক্রমেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
যতদিন পৃথিবীর পথে চে তার স্বপ্ন নিয়ে হাটবে , স্পর্শ করে যাবে মানুষের হৃদয় ততদিন পৃথিবী সাম্যের , মানুষের। চে’র প্রয়াণদিবসে একটি কথাই আসে চে সময়ের সাথে সাথে আরো অবিনাশীরূপে জেগে উঠছেন মানুষের রুখে দাড়ানোর মুষ্টিবদ্ধ প্রতিরোধে ।
বস্ত্রের পোস্টারে নয় প্রোটিনের পোস্টারে যেদিন জেগে উঠবে চে , সেদিন থেকেই পৃথিবীর মানচিত্র মানুষের হয়ে উঠবে।
ছেলে-মেয়েদেরকে লেখা চে’ গুয়েভারা’র শেষ চিঠি। এটি তিনি বলিভিয়ায় যাওয়ার আগে তাদের জন্য লিখে রেখে যান তার মৃত্যুর পর পড়ার জন্য।
প্রিয় হিলডিটা, এ্যলেইডিটা, ক্যামিলো, সেলিয়া এবং আর্নেস্তো,
তোমরা যদি একদিন এই চিঠিটি পড়ো, তার মানে হল আমি আর বেঁচে নেই। তোমরা আমাকে প্রায় মনে করতেই পারবে না, আর তোমাদের মধ্যে সবার ছোটটি তো আমাকে পুরোপুরিই ভুলে যাবে।
তোমার বাবা ছিল এমন একজন মানুষ ছিল যে তার মতে যেটা সেরা সেটাই করতে চেষ্টা করেছে, এবং যে তার সেই বিশ্বাসে অবিচল ছিল।
ভাল একজন বিপ্লবী হয়ে ওঠো। দক্ষতা অর্জন করার জন্য কঠোর পড়াশুনা করো, যেটা তোমাদের স্বভাবের উপর কর্তৃত্ব দান করবে। মনে রাখবে যে বিপ্লবটাই প্রয়োজনীয় এবং আমরা প্রত্যেকে, আলাদা আলাদা ভাবে কিছুই নই।
সবার আগে, পৃথিবীর যে কোন জায়গায়, যে কারো বিরুদ্ধে, যে কোন অবিচার গভীরভাবে অনুভব করার জন্য সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখবে।
আমার সন্তানেরা, আমি সবসময়ই তোমাদের। তোমাদের আবার দেখার আশা রইল।
বাবার কাছ থেকে একটি বিশাল দৃঢ় চুম্বন।
শুভ জন্মদিন তোমায় , পৃথিবীর বিপ্লবের প্রাণপুরুষ পৃথিবী আজন্ম নত হয়ে তোমার স্বপ্নকে ভালবাসবে ।
লুৎফুল কবির রনি: লেখক ও আর্ট ক্রিটিক