শঙ্খ বাবুর কাছে
শঙ্খ বাবুর কাছে
কবিতা পৌঁছেছে?
নাম নিয়েছি যার বুকের
ভেতর অষ্টপ্রহর তাঁর
হাওয়ার সাথে জলের
ঝিরিঝিরি
কিন্তু আমি খাঁ খাঁ খরায়
পোড়া তালগাছটা একা
চৈত্র মাসের চাতক যেন
আকাশে আজ চেয়ে
বর্ষা ভাবি ধূমল আকাশ
জমকালো মেঘ-বাড়ি
আজ মেঘের সাথে আড়ি
চৈত্রে পোড়া রাঢ়ের মাটি
ধুলোয় মিশে উড়ি ভিজিয়ে দাও
বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দাও মেয়ে
তেমন করে সই
জলের ফোটায় আবার
আমি প্রাণের ভূমে নামি
হৃদয় যখন পোড়ে তখন
কে হায় তৃষ্ণা মেটায়
বাদবাকি সব চুলোয়
গেলেও কার কি আসে
যায়
বোশেখ এলে আমার
জন্য বৃষ্টি তো পদ্যই
তোমার চোখের কুয়োর
তলে একলা জেগে রই
শঙ্খ বাবুর কাছে কবিতা পৌঁছেছে?
ভালোই ছিলাম চরৈবেতি ঘূর্ণিপাকে
ভালোই ছিলাম চরৈবেতি
ঘূর্ণিপাকে
পায়ের নীচে সর্ষে নিয়ে
ভালোই ছিলাম
তোমার দেখা পেয়েই যে
সব গোল বাধাল
তোমার দেখা পেয়েই যে
মন থমকে গেল
গোলকধাঁধায় ঘুরছি শুধু
কেন্দ্রে তুমি
না আকাশ না সমুদ্র না
স্বর্ণভূমি
এখন আমার চোখের
ভেতর অন্য আলো
এখন আমার তেষ্টা
পেলেও আকাশ ছাড়া
অন্য কোনো কুয়োর
জলে মন ভরে না
এখন আমার বোশেখ
গেল আষাঢ় এল
তবুও বুকে সোনার
নৌকো পাল তোলে না
চৈত্র দাহে এই নাবালে
তৃষ্ণা মেটাই
এমন কোনো জলের দিশা
আছে কি ছাই!
ভালোই ছিলাম চরৈবেতি
ঘূর্ণিপাকে
পায়ের নীচে সর্ষে নিয়ে
ভালোই ছিলাম
তোমার দেখা পেয়েই যে
সব গোল বাধাল
গোলকধাঁধায় ঘুরছি শুধু
কেন্দ্রে তুমি
না আকাশ না সমুদ্র না
স্বর্ণভূমি…