নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। ন্যান্সি নামেই সবাই চেনে ও জানে। প্রায় ১৮ বছর ধরে মিষ্টি সুর দিয়ে গেছেন শ্রোতাদের। তার গাওয়া গানগুলো শ্রোতারদের অন্ত:স্থলকে সিক্ত করে। জাদুর কণ্ঠের মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন সবার হৃদয়ে। চলচ্চিত্রের গান, আধুনিক গান ও মঞ্চ সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর উপস্থিতি নিয়ে গেছে তাকে ঈর্ষণীয় উচ্চতায়।
সম্প্রতি ন্যান্সির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তার স্বামীর সঙ্গে। বেশকিছু সময় থেকেই তিনি স্বামী থেকে আলাদা থেকেছেন। বুধবার বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর খুব শিগ্রই সুখবর দেবার কথা জানিয়েছিলেন।
সুসংবাদ শোনার অপেক্ষায় বেশিদিন থাকতে হয় নি ভক্তদের। সেপ্টেম্বরেই তৃতীয় বিয়ে করছেন ন্যান্সি। পাত্র ও ঠিক করা হয়ে গেছে। আগস্ট মাস শোকের মাস তাই তিনি এ মাসে বিয়ে নিয়ে আনন্দে মেতে থাকতে চান না।
ন্যান্সির বর হচ্ছে কে? এই প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা রহস্য রেখেই তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আরো পরে জানাবো, এখনোও অনেক কিছুই বাকি।’ বিয়ের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ‘আমার এর আগে বিয়ে হয়েছে কিন্তু মেহদি দেওয়া হয়নি। যেহেতু এবার দানে দানে তিন দান, তাই বিয়ের সব আয়োজন রাখবো কিনা ভাবছি। মেহদি, প্রি ও পোস্ট ওয়েডিং- সবকিছু।’
গায়িকা ন্যান্সি একটু আক্ষেপ করেই বলেন, ‘সবাই আমার বিচ্ছেদ নিয়ে পড়ে আছে। কিন্তু সবকিছু ফেলে আমার জীবনটা সুন্দরভাবে সাজাতে চাই, পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না।’ তাই সেপ্টেম্বরেই বিয়ের পিড়িতে বসছি।’
দ্বিতীয় স্বামী নাজিমুদ্দিনের সাথে বিচ্ছেদের কথা জানা যায় ন্যান্সির গত ২ এপ্রিলে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। প্রথম বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে ২০০৬ সালে। প্রথম পক্ষের একমাত্র মেয়ে রোদেলা। এর ছয় বছর পর নাজিমুদ্দিন জায়েদকে বিয়ে করেন ২০১৩ সালের ৪ মার্চ। দ্বিতীয় সংসারে আসে কন্যা সন্তান নায়লা।
ন্যান্সি বলেন, ‘আমি প্রথম বিয়ে করেছি পালিয়ে। আর দ্বিতীয় বিয়ে করেছি ঘরোয়াভাবে। ফলে দুটি বিয়ে করলেও বউ সাজিনি। কেউ আমার গায়ে হলুদ দেয়নি। হাতে মেহেদি রাঙিয়ে দেয়নি। বিয়ে মানে তো দুই হাত ভরে মেহেদি দেবে, গায়ে হলুদ দেবে। এখন তো বিয়ের আগে, পরে আরও কত কত ওয়েডিং আসছে। কিন্তু আমার কোনো বিয়েতেই কোনোরূপ সাজসজ্জা ছিল না। এমনকি আমার বিয়ের কোনো ছবিও নেই। তাই এবার ভেবে রেখেছি আয়োজন করেই বিয়ে করব। এবার আমি প্রচুর মেহেদি দেবো হাতে। যতটা পারি অনুষ্ঠান করেই বিয়েটা করব।’
এরপর গত বুধবারে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন, ‘সংসার জীবনে বিচ্ছেদ মানেই মানসিক নিপীড়ন, পরিবারের দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের টিপ্পনি, সমাজের নোংরা কথা… ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্ত নিজের ওপর ভরসা থাকলে এই কঠিন সময়টাও সহজ হয়ে যায়। আমার বেলায় তাই হয়েছে। দুটো মানুষ একে অপরের বিরক্তির কারণ না হয়ে বরং সম্মানের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়াই শ্রেয়। নতুন পথে যাত্রা শুরু করলাম। তাই বলি, বিচ্ছেদ কখনো মধুর ও হয়।’
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই