ডেস্ক রিপোর্ট : সারাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িত বা নাশকতাকারী সন্দেহে গত চারদিনে অন্তত ২ হাজার ৬৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ১০০ জনকে।

এ পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৩৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৭টি থানায় দায়ের করা মামলায় ৪৯৯ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৭৪ হাজার ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৯০ জন মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে প্রকৃত তথ্য সরকারিভাবে এখনও বলা হয়নি।

টানা পাঁচদিন ধরে অচলাবস্থা থাকার পর বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সকাল থেকে কারফিউ শিথিল থাকায় অফিস-আদালত, ব্যাংক খুলেছে, সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের ভিড় বেড়েছে। সহিংসতায় জড়িতদের সন্ধানে গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও কারফিউ রয়েছে, তবে দুপুর ১০টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত শিথিল রয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘাত-সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অচল অবস্থা তৈরির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি শক্তি, জঙ্গিরা একত্র হয়ে এ ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটিয়েছে। আমরা কোনো সময়েই দেখিনি থানা ভবন আক্রমণ করতে, কারাগার আক্রমণ করতে—এগুলো আমরা নতুন করে দেখলাম।’

এদিকে টানা পাঁচদিন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার রাতে আবার সীমিত আকারে চালু হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে বাসা-বাড়িতে ইন্টারনেট চালু হয় তবে গতি কম লক্ষ্য করা গেছে।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম