না-কবি আমার না-কবিতা……
জারুল তোমার বেগুনি সব দুঃখ ঢালো
রুদ্রাকাশে মৃত তারাদের কান্না
ভালো;
কৃষ্ণচূড়া তোমার আবির রাংগা রং কি তবে যীশুর রক্ত?
সন্ত অগাষ্টিনের ক্রুশের ভারে মরছি আমি তোমার ভক্ত ;
কর্ণ আমি ভুলে গেছি তাই মাতৃজঠর,ক্ষমতালোভী ভ্রাতৃকুল আর সব ভণিতা
স্বপ্ন ভংগের সমাধিফলকে ঝলসে উঠুক না-কবি আমার না-কবিতা।
এখন দহন কাল……………
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৭
এখন দহনকাল হৃদয়ে তুষের আগুন
আর কক্ষনো এসোনা ফাগুন ,
হৃদয়ের নিলয়-অলিন্দে ভালোবাসার যতি চিহ্ন
টেনে দিয়েছি অনেক আগেই,
হুতাসনে বসে কবিতার সাথে বিচ্ছেদ
হয়েছে সেই কোন সুদূর অতীতেই,
এই মহা শ্মশানে বসে
এখন কেবল পোড়া লাশের
গন্ধ শুকি,
চারিদিকে দেখি কেবল বিধ্বস্ত মানবতা
নিদ্রাহীন জীবনে স্বপ্নেরা দেয় না
আর উঁকি,
মহাসমারোহে এখন চলছে মাৎস্যন্যায়
নারদ মুনির দল মত্ত মিথ্যে দেশপ্রেমের তপস্যায়,
তাই “গণজাগরণ মঞ্চ” রেনেসাঁর মৃত্যু ঘটে যায়
পর্দার আড়ালে কোন এক চানক্যের ইশারায় ,
এখন অহরহ হচ্ছে দ্রৌপদির বস্ত্রহরণ
তা দেখে বিবেক বর্জিত পুরুষকুলের হৃদয়ে আর হয় না
বিন্দুমাত্র রক্তক্ষরণ,
শীতলক্ষ্যার জলে ভাসে গুম হওয়া মানুষের লাশ
বিচারের বানী কেবল নীরবেই কাঁদে
পুরন হয় শুধু মাফিয়াচক্রের উচ্চাভিলাষ,
তাই দহনকালে নিঃসঙ্গ তরুন কবির কবিতার বন্ধ্যাত্ব ঘুচেনা
তাই দহনকালে তরুন বাঁশরির বাঁশরিতে সুর লহরী আর উঠেনা
তাই দহনকালে রূপসা পাড়ের বিপ্লবীর স্বপ্ন আর পূরণ হয়না
তাই আবারো বলি
এখন দহনকাল হৃদয়ে তুষের আগুন
আর কক্ষনো এসোনা ফাগুন!!!!!
বিবর্তিত ভালোবাসা…………….
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৭
তোমার বিবর্তিত ভালোবাসার কাছে আমি এখন হয়তোবা কোন প্রাগৈতিহাসিক জীবাশ্ম;
তোমার নির্লিপ্ততা আর পীড়াদায়ক ভাবলোলুপতা অথবা উন্নাসিকতার কাছে আমার সমস্ত আবেগ যেন নির্বাক চলচ্চিত্র;
তোমার আংগিনায় এখন কত রোদ্দুর খেলা করে নিঃশব্দ শিশির পতনের শব্দ তুমি আর শুনতে পাবেনা;
তোমার দৃষ্টিসীমা জুড়ে থাকে এই হঠাত পাল্টে যাওয়া পুঁজিবাদী সমাজের বিলাসবহুল প্রাসাদ আর গাড়ি;
আমিতো উদাসী ঘোরলাগা এক ভবঘুরে মানুশ তোমার সাথে ওড়ানো হবেনা আর স্বপ্নের ফানুস ;
আমি তো লখিন্দর নই যদিও তুমি বেহুলা হয়ে আমাকে অযথাই করো অবহেলা;
তবে জেনে রেখো কোন একদিন আর খুঁজে পাবেনা আমাকে যেইদিন ওপারে ভাসাবো ভেলা।.