কখনো সুচিত্রা সেনকে দেখিনি,
ছোট বেলায় দূর থেকে তোমায় দেখতাম
মাঝে মাঝেই আসতে শিক্ষা গবেষণায়,
ছোট্ট গাড়ীটা চালিয়ে এসে নামতে
যেন অন্য কোন অগ্রসর গ্রহ থেকে
নেমে এলে তুমি
অন্তরের গভীরে পুলক লাগত যেন!
শৈশব কাটিয়ে কৈশোরে ……
দেখেছি তোমায় আরো কাছ থেকে
কখনো তোমার বাড়ীতে কখনো আমাদের,
বিস্ময়ে তোমায় দেখেছি দৃঢ়-কঠিন
অথচ স্নেহময়ী,
কখনো পুত্রশোক দেখিনি
যেন এক গরবিনী মা তুমি।
তারপর কত চন্দ্রভুক অমাবস্যা কেটেছে
উদিত সূর্য অস্ত গেছে কত বার
রোদে, জলে আমাদের সংযোগের সুতোর রঙ পাল্টেছে।
তখন আমি ঠিক তিরিশের কোঠায়
নষ্ট অতীতের ভবিতব্য নির্ধারণে –
আমরা ক’জনা কান্ডারী খোঁজে নিমগ্ন
হঠাৎ আলোর ঝলকানির মত ভেসে এল
তোমার নাম ……
ছুটে গেলাম তোমার কাছে
কত কথাই না বলতে হবে তোমায় মানাতে
কিন্তু কিছুই শুনলে না তেমন, বলে দিলে
‘ঠিক আছে, এই শরীরে যতটা পারি’।
তোমায় পেলাম আমরা মিছিলে
তোমায় পেলাম শ্লোগানে,
কালের অবক্ষয়
তবু ঋজু, দৃপ্ত, উচ্চ শির।
মুহুর্তে পাল্টে গেল
এই মানচিত্রের আকাশ বাতাস।
সেই থেকে পথ দেখানিয়া
তুমি আমাদেরও আগে
আমরা রয়েছি তোমার পিছু পিছু।
তুমি আমার সাহস
এখনও লড়ে যাবার শক্তি
রাজপথে আমরা ভয়হীন
আমাদের কন্ঠে বজ্রনিনাদ
আমাদের দৃষ্টি লক্ষ্যভেদী।
আমাদের সঞ্জীবনী, সাহসিকা,
তোমাকে অভিবাদন।।
।। সাগর লোহানী।।
মে ৩, ২০১৪