ডেস্ক রিপোর্ট: এই প্রথম বিশ্বের বাজারে আসতে চলেছে মশাবাহিত ভয়ঙ্কর সংক্রামক রোগ ম্যালেরিয়ার টিকা। ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন’-এর বানানো বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকা বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অনুমোদন পেয়েছে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আফ্রিকায় প্রতি বছর লাখো শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকে।প্রায় একশ বছর ধরে মারাত্মক প্রাণঘাতী এই রোগের টিকা আবিস্কারের চেষ্টা করছিলেন বিজ্ঞানীরা।
প্রাণঘাতী ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফ্রিকা জুড়ে শিশুদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে এসেছে ভ্যাকসিন বা টিকার অনুমোদন। খবর বিবিসি
বুধবার টিকার অনুমোদনের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন, ‘এটি ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত’।
‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন বিজ্ঞান, শিশু স্বাস্থ্য ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি যুগান্তকারী সাফল্য। এটি প্রতিবছর লাখো শিশুর জীবন রক্ষা করবে,’ বলেছেন তিনি।
ম্যালেরিয়াকে এখনো বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাতে বেশি মারা যায় শিশু ও নবজাতকরা।
প্রায় এক শতাব্দীর চেষ্টার পর শিশুদের জন্য ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন পাওয়াকে চিকিৎসা খাতের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরটিএসএস নামক ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিলো ছয় বছর আগে।
এরপর ঘানা, কেনিয়া ও মালাউইতে টিকাদানের পাইলট কর্মসূচি পরিচালনার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বলছে, এখন এটি সাব সাহারা আফ্রিকা এবং অন্য অঞ্চলেও মধ্যম থেকে উচ্চ মাত্রার ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
বিশ্বে একশরও বেশি ধরণের ম্যালেরিয়া আছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী কিন্তু আফ্রিকাতে বেশি দেখা যায়, এমন ধরণটির বিরুদ্ধেই নতুন টিকা কার্যকর।
তবে টিকাটি কার্যকর হতে চার ডোজ দরকার হওয়ায় এ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
এর মধ্যে প্রথম তিন ডোজ – পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম মাসে আর দেড় বছর বয়সে আরেকটি বুস্টার ডোজ।
ওষুধ প্রস্ততকারক কোম্পানি জিএসকে এটি প্রস্তুত করছে। তবে এটি আফ্রিকার বাইরে ম্যালেরিয়ার অন্য ধরণগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে না।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম