ডেস্ক রিপোর্ট : যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আজ শহীদ ডা. মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী ‘ডা. মিলন দিবস’ পালিত হয়েছে।
১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার-বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয় এবং ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি শহীদ ডা. মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় দলের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের পক্ষ থেকে আজ ভোর ৬ টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৮ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজস্থ শহীদ ডা. মিলনের সমাধি ও সকাল ৮টা ৩০মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন শহীদ ডা. মিলন সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়া বিএমএসহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ডা. মিলনের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
এদিকে আজ সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতিসৌধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম