২২-২-২২
এক জীবনে দুই-এর কাছে
এত কাছে – আর কি আছে?
কিছু আছে গালগল্প
ভেজাল তা’তে অল্পস্বল্প
অনেক গল্প খাঁটি
ছিঁচকাঁদুনে গল্প আছে, আছে গল্পমাটি।
গল্পমাটি দিয়ে আমি বানাই জীবনঘর
বিন্দু বিন্দু অশ্রুজলে শক্ত ক্ষণ প্রহর
প্রহরগুলো শুকোই আমি আমার প্রশ্বাসে
নি:শ্বাস ছাড়ি ভিত্তি গড়ি প্রাণের বিশ্বাসে
আমার শেষ বৃষ্টির ফোঁটা
ছড়াবে জানি রংধনু আর আলোর বর্ণচ্ছটা
আমার শেষ বৃষ্টির সময়
কদম ফুলে মিষ্টি হাসি ভালবাসা প্রণয়
জানি না তো থাকবে কি না আমার গন্ধ রেশ
গল্পমাটি ছন্দ জীবন ধূলোয় অবশেষ
বেশ কাটালাম জীবনঘরে গল্প সমাহারে
আধেক কান্না আধেক হাসি অমিয় ফুৎকারে
“ভাফুরান”*
জীবনটা তাড়াতে তাড়াতে যেখানেই নিক না কেন-
তাড়িয়ে তাড়িয়ে যাতে উপভোগ করে যেতে পারি।
পাহাড় চূড়ায় কিংবা খাদের গভীর কিনারায়,
শুকতারা ছুঁয়ে কিংবা সন্ধ্যাতারা হাতে,
যেন রজনীগন্ধার সৌরভ শুঁকতে পারি।
কড়া না নাড়িয়েই যেন হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারি,
তুষারপাতেও যেন অম্লান ওম-এর উত্তাপ নিতে পারি।
গ্রীষ্মের দাবদাহে, বর্ষার কদমফুলে, শরতের নিষ্কলুষ মেঘে, হেমন্তের সোনাঝরা বিকেলে, তুহিন শীতের গহীন অরণ্যে, আর মিষ্টি ফাগুনে, অনুক্ষণ যেন প্রশান্ত বসন্ত কোকিলকে আহ্বান করতে পারি।
আর, বন্ধ্যা নিঃশ্বাসে আশ্বাস-ফুঁ দিতে পারি “ভাফুরান।”
“ভালোবাসা অফুরান” হোক “ভাফুরান”,
এক নি:শ্বাস ধ্বনি,
নতুন উচ্চারণে,
পরাণ আবাহনী ,
“ভাফুরান।”
যেন ফুরায় না কভু, দোঁহার প্রেমগাঁথা, জীবনপুরাণ,
না হয় পুরান, হয় অবিনাশী প্রাণ, অনন্ত সমুদ্রস্নান,
হয় জীবনঝর্ণা, হয় মোহন বাঁশীর গান,
“ভাফুরান,” “ভাফুরান,” “ভাফুরান”।।
পাদটীকা:
*“ভাফুরান” আমার কল্পনার নতুন শব্দ – ভালবাসা অফুরান শব্দদ্বয়ের “ভা”লবাসা থেকে এক চিমটি “ভা” আর অ”ফুরান” থেকে এক মুঠ “ফুরান” নিয়ে আধা লিটার হৃদয়ের উচ্ছ্বাসে খুব ভালমত গোলানোতে কল্পনায় পেয়ে গেলাম হৃদয়রক্ষাকারী নতুন শব্দ, “ভাফুরান।” আশাকরি, এই শব্দটা যে-কোন বয়সী-যুবকদের হার্টের গতিতে অফুরন্ত বেগ-আবেগের
সঞ্চার করবে।