দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সুমন আনোয়ার। চলচ্চিত্রের নাম ‘জোয়ার ভাটা’। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে আজ। দেখাবে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে চরকিতে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।
চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য ২০ মিনিট। পরিচালক এই চলচ্চিত্রকে তাঁর ফিলোসফিক্যাল ট্রিলজির দ্বিতীয় পর্ব বলছেন। পরিচালক সুমন জানান, ছবিটা একজন নারীর মনস্তাত্ত্বিক ভ্রমণ। জন্মের পর বাবার বাড়িতে শৈশব–কৈশোর পার করে একটা মেয়ে, বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে যায়। তার আসলে নিজের কোনো বাড়ি নেই। তবে একটা ঘর আছে। রান্নাঘর। সেই ঘরের গোছগাছ, হাঁড়িটা কোথায় থাকবে, পাতিলটা কীভাবে থাকবে, এসব করেই তার দিন কেটে যায়। এ রকম একজন আশ্রিত মেয়ের গল্পকে ঘিরে চলচ্চিত্রটি নিার্মাণ করা হয়েছে।
করোনার মধ্যে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে রীতিমতো যোদ্ধা মনে হচ্ছিল, বলছিলেন সুমন আনোয়ার। করোনার মধ্যেই গত বছরের শেষ দিকে ঢাকার অদূরে পুবাইলে জোয়ার ভাটার শুটিং করেন তিনি।
করোনাকালীন শুটিংয়ের অভিজ্ঞাতা বিনিময় কালে তিনি বলছিলেন নাটকীয় ঘটনার কথা, ‘সারাক্ষণ মুখে মাস্ক পরে থাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুটিং করাটা সত্যিই লুকিয়ে লুকিয়ে যোদ্ধার মতোই কাজ করা। শুটিংয়ের মধ্যেই সবার মধ্যে একটা চিন্তা, জীবাণু সংক্রমণ করছি না তো। শুটিং শেষে বাড়িতে ফিরলে পরিবারের কেউ সংক্রমিত হবে কি না, এটাও একটা টেনশন।
তিনি আরও জানান, দূরত্বের সাবধানতা মেনে পারফরমারকে আবার দৃশ্যের প্রয়োজনে মাটিতে ঘুমাতে হচ্ছে, নৌকা চালাতে হচ্ছে। টানা দুই দিনের শুটিংয়ে মেকআপ তোলার সুযোগ ছিল না। একবারের মেকআপে পুরো শুটিং শেষ করতে হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পুরো ব্যাপারটা এক্সিকিউট করা তো যুদ্ধের মতো।’
সম্পাদনা, কাট-ছাট ও নানা ধাপ পেরিয়ে ছবিটি আজ দর্শকের কাছে পৌঁছাবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় একটি সিনেমার শুটিংয়ে তখন তিনি রংপুর। জানালেন, জোয়ার ভাটা মুক্তির খবরটি আনন্দের। এই সিনেমায় দুজন অভিনয়শিল্পী। তাঁরা দুজন ভীষণ কষ্ট করেছেন বলেও জানালেন পরিচালক। তিনি বললেন, ‘টানা দুই দিন শুটিং করেছি।
টানা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা মাত্র এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছে। জোয়ার ভাটায় অভিনয় করেছেন ফারহানা হামিদ আত্তি ও শ্যামল মাওলা।’
ফিলোসফিক্যাল ট্রিলজির প্রথম পর্ব সদরঘাটের টাইগারও এই দুজনকে নিয়েই বানিয়েছেন এই পরিচালক। এর আগে তিনি নুসরাত ইমরোজ তিশাকে নিয়ে রাতারগুল, কালারগুল ও গুলবাহার নামে আরেকটি ট্রিলজি বানিয়েছিলেন। জোয়ার ভাটায় দুটি গান রয়েছে, গেয়েছেন সুমেল চৌধুরী। আবহ সংগীত করেছেন সন্ধি।
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই