ডেস্ক রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের ‘জগৎ বন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডার’ থেকে বেলা এগারোটার দিকেই মিষ্টি আনিয়ে রেখেছিলেন আইভী চাচা তৈমূর আলম খন্দকারের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু চাচা তৈমূর গিয়েছিলেন কোর্টে। তাই বিকেল পাঁচটার দিকে আইভী মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে রওনা হলেন তৈমূর আলম খন্দকারের বাড়িতে। সাথে নিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও তার নির্বাচন সমন্বয়ক আদিনাথ বসুকে। তৈমূরের বাড়েিত প্রবেশ করতেই আইভীকে সাদরে অভ্যর্থনা জানানো হলো।
মহানগর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এ টি এম কামালসহ আরো কয়েকজন নেতা-কর্মী এসময়ে তৈমুরের পাশে ছিলেন। শুরুতেই তৈমূর আলম খন্দকার বললেন, “আইভীর সাথে আমার পারিবারিক, আত্মিক ও আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। আমার নেতা ছিলেন আইভীর বাবা আলী আহম্মদ চুনকা। আমি যখনই দোয়ার জন্য হাত তুলি তখনই আল্লাহর দরবারে আলি আহম্মদ চুনকার জন্য দোয়া করি। মেয়র হিসেবে আমি আইভীর সার্বিক সফলতা কামনা করি। এক পর্যায়ে তিনি আইভীর মাথায় হাত দিয়ে বললেন, তার পেছনে আমি আছি। আইভী যেখানেই থাকুক, যে কাজই করুক, তার সুবিধা অসুবিধায় অদৃশ্য শক্তির মতো তার মাথায় আমার হাত থাকবে।”
পুনরায় নির্বাচিত মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী এসময় বলেন, “কয়েকদিন ধরে সাংবাদিকরা আমাদের দু’জনের নিউজ টানা করে গেছেন। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা শুনলেন তৈমূর কাকার কথা। তার সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমি পুরো নির্বাচনে বলার চেষ্টা করেছি রাজনীতির জায়গায় থাকবে রাজনীতি। কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি হবেনা। পূর্বে যেরকম ছিলো এখনো সেরকম থাকবে। কাকাও এটা জানেন। ভবিষ্যতে কাজ করতে গেলে তার অবশ্যই পরামর্শ নিবো। পারস্পরিক সহযোগিতা তো থাকবেই। কারন আমরা সবাই তো নারায়ণগঞ্জের মানুষ। নারায়ণগঞ্জবাসির স্বার্থে, জনগনের স্বার্থে দলের উর্ধ্বে উঠে কাজ করাটা ইবাদতের শামিল।”
ডাঃ আইভী তৈমূর আলম খন্দকারের স্ত্রী ফারজানা তৈমূরের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘কাকা ব্যস্ত থাকলেও কাকীর সাথে আমার সব সময় যোগাযোগ রয়েছে।’
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম