দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স প্রথম বর্ষে আসন আছে প্রায় ৮০ হাজার। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আছে ৮ লাখের কিছু বেশি। শিক্ষার্থীরা সাধারণত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে অগ্রাধিকার দেয়। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হয়ে গেছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ভর্তি পরীক্ষা হয় না। এসএসসি-এইচএসসির ফলের ভিত্তিতেই ভর্তি করা হয়। মহামারির জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে না এলে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে না এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এ বিষয়ে বলেছেন, ‘অন্য সব ভার্সিটিতে ভর্তি শুরুর আগেই এটা করা ঠিক হচ্ছে না’।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত আসন থাকায় এই স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপেক্ষা করতে গেলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই পিছিয়ে পড়বে। তাই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে এই স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মধ্যে রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
সাধারণত বিগত দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার পূর্বেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিয়ে ভর্তি হতো। কেউ এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষাই নিতে পারছে না। ফলে আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে চাইছে না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি শুরু হয়েছে যা চলবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত।
অন্যদিকে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোটা ঠিক হবে না। তারা আগে যেভাবে ভর্তি করত, সেটাই অনুসরণ করা উচিত।’ তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি ১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির পর চলে যায়। যেসব শিক্ষার্থী চলে যায় তাদের ভর্তির টাকা ফেরত দিতে নানা জটিলতা হয়। তবুও এবার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই