ডেস্ক রিপোর্ট : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে যেসব গাড়ি সিএনজি চালিত সেসব বাসের ভাড়া বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
এদিকে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে চলমান পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে বৈঠক শেষ বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ডিজেলের দাম বাড়ায় প্রতি কিলোমিটারে দূরপাল্লার বাস ভাড়া এক টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আর মহানগরে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাস ভাড়া সর্বনিম্ন ১০ টাকা এবং মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সিএনজি চালিত বাস ভাড়া বৃদ্ধির আওতায় আসবে না বলে জানানো হয়েছে। সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা এবং বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এলপি গ্যাসের দাম প্রতি কেজির সিলিন্ডারে ৫৪ টাকা করে বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার।
এদিকে, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালিব জানিয়েছেন দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ডাকা পণ্য পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
সড়কের যখন এ অবস্থা তখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভরসার নৌপথও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে জাহাজ পরিবহন মালিক সমিতি। তাদের দাবি, তেলের দামের সঙ্গে মিলিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলে, সম্ভব নয় লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখা।
যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে তিন টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের পর এক টাকা ৪০ পয়সার বদলে দুই টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছেন লঞ্চ মালিকরা।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম