আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবানের প্রায় ৬০০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ)।
গতকাল শনিবার রুশ গণমাধ্যম স্পুতনিকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই এই তথ্য জানিয়েছে।
এনআরএফের মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি গতকাল এক টুইটের মাধ্যমে জানান, পাঞ্জশিরের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৬০০ তালেবান নিহত হয়েছে। এক হাজারের বেশি তালেবান আটক হয়েছে বা আত্মসমর্পণ করেছে।
তিনি আরও জানান, আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রদেশ থেকে রসদ পাওয়ার ক্ষেত্রে তালেবান সমস্যায় আছে।
তালেবানের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আল–জাজিরা জানিয়েছে, পাঞ্জশিরের দখল নিতে লড়াই অব্যাহত আছে। কিন্তু এনআরএফের বিরুদ্ধে তালেবানের আক্রমণের গতি কমে গেছে। কারণ, এলাকাটির সড়কগুলোতে ভূমি মাইন বসানোর কারণে তালেবানরা সুবিধা করে উঠতে পারছে না।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হয়। কাবুল দখলের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তালেবান। উপত্যকাটি বিদ্রোহী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গত শুক্রবার পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছিল তালেবান। কিন্তু গতকালও পাঞ্জশিরে বিরোধীদের সঙ্গে তালেবানের লড়াই চলছিল।
তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর এই পার্বত্য এলাকায় এনআরএফ গড়ে তোলে। স্থানীয় নেতা আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়াদের সঙ্গে আফগান সামরিক বাহিনীর কমান্ডারদের একাংশ মিলে এই ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা আলোচনা চলছিল। কিন্তু সমাধান আসেনি। ফলে তালেবান যুদ্ধের পথ বেছে নেয়। পাঞ্জশিরের দখল নিতে তালেবান ও এনআরএফের মধ্যে কদিন ধরে তীব্র লড়াই চলছে।
দ্যএডিটর৩৬৫/জেডআই