ডেস্ক রিপোর্ট : চিত্রনায়িকা পরীমনির মাদক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
পরীমনি অসুস্থ থাকায় মাদক মামলার প্রথম দিন সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।
আজ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষি আদালতে হাজির হননি।
পরীমনি অসুস্থ থাকায় তিনিও আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পরীমনি। এজন্য আদালতে হাজির হতে পারেননি। তিনি সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করছেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এরআগে বুধবার (৫ জনুয়ারি) ঢাকার-১০ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ৪ আগস্ট ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওইদিনই রাতে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাদের দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে বনানী থানায় নেওয়া হয়। এরপর র্যাব বাদি হয়ে বনানী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। রাজ ও তার সহযোগি সবুজ আলীর বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা হয়।
মাদক মামলায় পরীমনিকে ওইদিনই আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মাদক মামলায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে করা পরীমনির জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে গত ২৬ আগস্ট রুল জারি করে হাইকোর্ট বিভাগ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার হওয়ার প্রায় এক মাস পর গত ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান এ চিত্রনায়িকা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম