মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন অদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন। পরীমনি আজ এ মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন। এছাড়া পরীমনি তার গাড়ি, ল্যাপটপ ও মোবাইলের জন্য আবেদন করেন। আদালত মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরআগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ওইদিনই রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দু’সহযোগিকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদি হয়ে পরীমনি ও তার সহযোগি দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরও দুই দফায় তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করা হয়। তিনি বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম