চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন আবেদন করেছে তার আইনজীবী। জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। তিনি আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে পরীমনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১৩ আগস্ট ছয়দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
আদালতে গত ৫ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগীকে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মামলায় তাদের প্রথম দফায় চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এ রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর দ্বিতীয় দফায় দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
গত ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়।
এরপর পরীমনিকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদর-দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে বনানী থানার উদ্দেশে রওনা দেয় র্যাবের টিম।
রাজধানীর বনানী থানায় এরপর র্যাব বাদী হয়ে পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে পরীমনি মাদক সেবন করতেন। তিনি বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম