ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ বাংলাদেশে অনুমোদনের পর বাজারেও চলে এসেছে। এই ক্যাপসুলটি যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে অনুমোদন পেয়েছে।
দেশে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এসকেএফ ওষুধটি এরমধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু করেছে বলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গতকাল সোমবার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আজ মঙ্গলবার এসকেএফও ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতের অনুমোদন পেয়েছে।
এসকেএফ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখে খাওয়ার এই ওষুধ আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকেই দেশের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এবং প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ টাকা।
এ ছাড়া অনুমোদনের তালিকায় আছে আরও আটটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
করোনার চিকিৎসায় কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ ছিল না। যুক্তরাজ্যে অনুমোদনের পর বলা হচ্ছে ওষুধটি মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
‘উন্নয়নশীল দেশ’ হিসেবে কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে ‘মেধাস্বত্ত্ব ছাড়ের’ সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো দ্রুত এই ওষুধ আনতে পারছে বলে জানান মাহবুবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, এই প্রথম মুখে খাওয়ার কোনো অ্যান্টিভাইরাল আমাদের দেশে আসল। মলনুপিরাভির এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পেয়েছে। আমরা মনে করি, এই ওষুধ করোনাভাইরাস মহামারী দূর করতে ভূমিকা পালন করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।
এর আগে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে জানানো হয়েছে।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম