আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পদত্যাগ করেছেন। কাবুল দখলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন। তালেবানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আফগানিস্তানের পটপরিবর্তন ঘটল রক্তপাতহীনভাবেই। ২০০১ সালের পর আবারো ক্ষমতায় তালেবান।বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, রোববার সকাল হতেই বিনাযুদ্ধে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়ে গেল আফগানিস্তানে। তালিবান নেতাদের সঙ্গে মাত্র ৪৫ মিনিট বৈঠকের পরেই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আশরাফ গানি। তার জায়গায় এ বার আফগা্নিস্তানের প্রেসিডেণ্ট হতে পারেন আর এক গানি, মোল্লা আবদুল গনি বরাদর। বর্তমানে আফগানিস্তানে তালিবানের প্রধান তিনি। রোববার সকালে আশরাফ এবং আমেরিকার কূটনীতিবিদদের সঙ্গে সমঝোতা করতে তিনিও প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হাজির ছিলেন।শনিবার রাতে উত্তরের মাজার-ই-শরিফ দখলের পর থেকেই কাবুলের পতনের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছিল। রোববার সকালে জালালাবাদ দখল করে তাতে সিলমোহর দেন তালেবান যোদ্ধারা। তার পর রাজধানী কাবুলেও দলে দলে প্রবেশ করতে শুরু করে তারা। যদিও দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে কাবুলে ঢোকার মুখেই থমকে যেতে হয় তাদের। এর পর সরাসরি আশরাফ এবং আমেরিকার কূটনীতিবিদদের সঙ্গে সমঝোতা চান বলে দাবি করেন তালেবান নেতৃত্ব। জানিয়ে দেন, গায়ের জোরে কাবুল দখল করতে চান না তারা। শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর চান।এর পরেই মার্কিন কূটনীতিবিদ এবং ন্যাটো প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন আশরফ। তার পর বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় তালিবান নেতৃত্বকে। সেই মতো মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দেয় তালিবানের একটি প্রতিনিধি দল।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম