ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঁচজন শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে ওই দুই শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কলোনি এলাকায় অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারহানা পারভীন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির দুজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন ছাত্রীর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনায় আক্রান্ত চতুর্থ শ্রেণির ২ জন ও পঞ্চম শ্রেণির ৩ জনের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তারা সবাই মেয়ে শিক্ষার্থী এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবার বালিকা সদস্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মমতাজ ফেরদৌস জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আগামী এক সপ্তাহের জন্য ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ছাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দেয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে কোটালীপাড়ার পর এবার গোপালগঞ্জ শহরে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ওই কক্ষটি তালা বন্ধ করে দিয়েছে।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১০২নম্বর বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোনালীসা ইসলাম ২১ সেপ্টেম্বর করোনা পজিটিভ হয়। সে পৌরসভার শিশুবন এলাকার মাসুদ শেখের মেয়ে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয় পাঠদান শুরু হয়েছে। ওই দিন অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পাঠদানে অংশ নিয়ে মোনালীসা ইসলাম বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণ শুরু করে। ১৪ সেপ্টেম্বর মোনালীসার মাথা ব্যাথা ও জ্বর শুরু হয়। এরপর থেকে সে আর বিদ্যালয়ে আসেনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমিন বলেন, বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে আমরা ওই বিদ্যালয়টির দ্বিতীয় তলায় ২০১ নম্বর কক্ষ বন্ধ করে দেই।
এর আগে, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার ৪নম্বর ফেরধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ আসে। তাকে নিজ বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলো।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম