চীনের সিনোফার্মে থেকে আরও ৬ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ দুপুরে ২৭তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডোজ টিকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে হবে। তার জন্য ২৭ কোটি ৬৫ লাখ টিকা ক্রয় করা প্রয়োজন। এর মধ্যে আমাদের হাতে আছে ২ কোটি ৫৫ লাখ । আর বাকিটা সংগ্রহ করতে হবে। আজকে আমরা ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য অনুমোদন দিলাম। বাকিটা আমরা পর্যায়ক্রমে অনব।
টিকার দাম জিজ্ঞাসায় অর্থমন্ত্রী উত্তরে বলেন, দাম আগে বলা যাবে না, তবে আগের নির্ধারিত যে দাম সে দামেই পাওয়া যাবে। দাম বাড়ানো হয় নি।
সবমিলিয়ে যে ২৭ কোটি ডোজ টিকার চাহিদা রয়েছে তাতে সরকারি ব্যয় কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, এই প্রসঙ্গটি আমাদের জানার বাইরে। কারণ এগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা, দরকষাকষি চলছে। দাম চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ হলে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো। এখনোও যেহেতু দাম নির্ধারণ হয় নি তাই এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারছি না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন এ বিষয়ে বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে চীনের সঙ্গে নন ডিসক্লোজার একটি চুক্তি আছে। সেজন্য দামটি প্রকাশ করা যাবে না। তবে আমরা আশা করি ৬০ মিলিয়ন সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পাবো। আশা করা যাচ্ছে আগামী নভেম্বরের মধ্যে আমরা এই ভ্যাকসিন পাবো।
মন্ত্রীপরিষদ সূত্রে জানা গেছে, আজকের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) চুক্তিপত্রে উল্লিখিত একক মূল্যে কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পূর্বে সরকার চীনের কাছ থেকে সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ টিকা ক্রয় করে। তার মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ টিকা ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে।
এর বাইরে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় দেশে আরও ১৭ লাখ ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন এসেছে। চীন থেকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে আরও ১১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই