ডেস্ক অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন সুমিতা খাতুন, মেয়ে মুন (৭) ও ছেলে সান (৩)। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার খোকসা গ্রামে। এ ঘটনায় নিহত সুমিতার স্বামী সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সোয়া ৯ টার দিকে পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর এলাকার ইসমাইল কলোনির এসএস হাউজ নামে একটি ভবনের চারতলার একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে দুইজনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। একজনের মরদেহ বিছানায় পড়েছিল।
তিনি বলেন, সুমিতা খাতুনের স্বামী সোহেল রানা নগরীর মুরাদপুর মোড়ে হারবালের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিক্রি করেন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।
এসি শহিদুল ইসলাম জানান বলেন, স্বামী সোহেল পুলিশকে বলেছেন তিনি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাসায় এসে তিন প্যাকেট বিরিয়ানি দিয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী সুমিতা খানকে বলেন, টাকা না থাকায় বাজার করতে পারেননি। এর পর রাত নয়টার দিকে স্বামী বাসায় এসে দরজা বন্ধ পান। পরে বাহির থেকে ডাকাডাকি করে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, সুমিতা খানের স্বামী আবার রাত ৩টার দিকে বাসায় এসে ডাকাডাকি করেন। তখনও কেউ দরজা খুলেননি। এর পর তিনি বাসার দারোয়ানকে বিষয়টি জানান ও ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।
পরে পুলিশ, বাড়ির দারোয়ান ও স্থানীয়রা মিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এর পর আরেকটি রুমের দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ দেখতে পান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সিআইডি ঘটনাস্থলে আছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম