রেজাউর রহমান লেনিন
সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ, ডাক নাম রোমিও, আমি রোমিও ভাই বলে ডাকি, তিনি দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন, তাকে টার্মিনেশন বা বরখাস্ত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে টার্মিনেট বা বরখাস্ত করা হয়েছে। টার্মিনেশন নোটিশটি আমি পড়েছি, এবং আমার এক বন্ধু সেটি দিয়েছেন, বন্ধু হিসাবে যিনি আমাকে দিয়েছেন তিনি বলেছেন, ‘আমি এখন গর্বিত বোধ করতে পারি’; আসলে তিনি বন্ধু হিসাবে আমার বিবেকবোধকে খোঁচা দিয়েছেন এবং আমার বিবেকবোধকে নাড়া দিতে চেয়েছেন, এবং নাড়া আমি খেয়েছি, বুঝতে পেরেছি, ধন্যবাদ। বন্ধু হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
এটি সত্য, সাংবাদিক রোমিও দীর্ঘ সময় ধরে আমার পরিচিত, এই পরিচয় হতে আমি বাধ্য ছিলাম তার কাজের জন্য, সমাজের একজন গবেষক ও অধিকার কর্মী হিসাবে নাগরিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে প্রথমসারিতে কাজ করার জন্য সাংবাদিক রোমিওকে আমার চেনা-জানা, বুঝা প্রয়োজনীয় ছিল তার কাজের ক্ষেত্রে, কর্মদক্ষতা এবং প্রতিভার জন্য; বলে রাখা ভালো জনপরিসরে রোমিও ভাই এর সাথে আমার দেখা হত, এবং সবার সামনে তিনি আমার প্রশংসা করতেন, যা আমাকে বিব্রত করত এবং একইসাথে খুশিও হতাম, একটি মিশ্র অনুভূতি ছিল।
সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের একটি অনুষ্ঠানে, আমি বক্তা ছিলাম, শক্তিশালী সাংবাদিক হিসাবে অংশগ্রহণকারী, বক্তৃতায় দুইবার সাংবাদিক রোমিওকে শক্তিশালী সাংবাদিক বলেছি এবং অনুষ্ঠান শেষে তাকে জড়িয়ে ধরেছি, কারন তিনি টুইটারে আমার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দেবার চেষ্টা হয়েছে শুনে তিনি প্রতিবাদও করেছেন; যাক অনুষ্ঠানের হলে তাকে সর্বশেষে বিদায় দিয়ে বেরও হয়েছি।
কিন্তু অনুষ্ঠানের পরের দিন, সকালবেলা, ০৮ মে, ২০২৪, তিনি ফেসবুকে লিখলেন, “গতকাল একটা আলোচনা শুনতে গিয়েছিলাম EMK Center এ। সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। সবাই সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ দেখছেন। তরুণ হাততালি দিচ্ছে। তরুণ এক গবেষক সেখানে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৳৫০০০ করে দেওয়ার কথা বলে সাংবাদিকদের গুষ্টি উদ্ধার করলেন। অনেকে তাতেই বাহবা দিলেন। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বা বিবিসির মতো জায়গাতে থাকলে তা দেওয়া সম্ভব । আলোচনা শেষ হলো কিন্তু কেউ ই বললেন না পরিত্রাণের উপায় কি। আমি তো ঐ ব্যাংকের আত্মা দেখে হতাশ । মাত্র ৳৫০০০? ৳ ৫০০০০ হলো না? চাটগাঁ লোকজনের কলিজা বড় জানতাম….।” আমাকে নির্দেশ করে তিনি কথাগুলো বললেন, অবাক হয়েছি, বিব্রত হয়েছি, জনপরিসরে আমাকে নিয়ে তিনি এমন কথা লিখলেন?
বিব্রত হয়ে, আমি পরবর্তীতে ফেসবুকে লিখেছিলাম, “রোমিও সাংবাদিকতার কর্মকান্ড থেকে অনেক আগেই সরে এসেছেন এবং কিছুটা দূতাবাসমুখী বিবাগী হয়েছেন; পাত্তা পান না, ইরাবতী করে কি আর চলে? আমাকে আয়োজকরা কথা বলতে দেবার আগে আমার নিকট প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের সাংবাদিকতা কেমন করে মরালিটি, এথিক্স এবং টেকসই হবে বা হতে পারে, সর্বশেষ বক্তা ছিলাম আমি, আমি বলেছিলাম, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলা বিব্রতকর, কেননা, গতকাল একটি ব্যাংক সংবাদ সম্মেলেন সাংবাদিকদের দুপুরের খাবারের প্যাকেটের মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছে, আমার কাছে প্রশ্নটি সাংবাদিকদের মানবিক মর্যাদার বিষয়, আমি আমার বক্তব্য এখান থেকে শুরু করতে চাই’। আমি সাংবাদিকদের গুষ্টি উদ্ধার করি নাই বরং বলা দরকার ছিল তার সাম্প্রতিক সময়ের ডুবন্ত বিমানের টাকায় রোম ভ্রমণ, ফিরে এসে দূর্বল প্রতিবেদন প্রস্তুতি এবং সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার এবং তাদের রোম ভ্রমণ নিয়ে আর্থিক যোগান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ নিয়ে। সরাসরি সেগুলো না বলে, অন্য ধরণের কথায় আমি বলেছিলাম । আমার বক্তব্যে দ্বিতীয়বার তালি এবং হাসি পড়েছিল যখন আমি বলেছিলাম আমরা একটি স্বাভাবিক জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছি এবং তৃতীয়বারও সর্বশেষে বক্তৃতা শেষে…।” এই সংক্রান্ত অডিও-ভিডিও আছে, যে কেউ চাইলে পেতে পারে।
উপরের দুটি কোটেশন থেকে বুঝা যাচ্ছে, আমি সাংবাদিকদের গুষ্টি উদ্ধার করি নাই। আমাকে কেউ তাতেই বাহবা দেয় নাই। তিনি কেন আমার সম্পর্কে এমন অসত্য কথা কেন বলতে গিয়েছেন তা আমি জানি না, তবে অনুমান করতে পারি, এই ক্ষেত্রে অনুমান যথেষ্ট নয়। সামাজিক আলাপ আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের মাঝে নানা রকম আলাপ আমি অপরের নিকট শুনেছি এবং সাংবাদিক রোমিও একইভাবে শুনেছেন বলে মনে করি; কিন্তু আমার বিরুদ্ধে রোমিও ভাইকে কেন অসত্য কথা বলতে গেলেন তা নিয়ে কোন কথা কেউ বললেন না, রোমিওকে কেউ প্রশ্ন করেছেন কিনা নির্দিষ্ঠ করে তাও জানি না, তবে অনেকেই রোমিও ভাইকে মানা করেছেন এবং বলেছেন এমন করে কথা বলা উচিত হয় নাই।
মূলত আমাদের আলোচনা তর্ক-বিতর্ক হিসাবে ছিল, হয়তো আমরা একে অপরের সাথে কথা বলে মিটিয়ে ফেলতে পারতাম, কিন্তু গত দুইদিন যাবৎ আমি শুনেছি সাংবাদিক রোমিওকে টার্মিনেট করা হয়েছে এবং যা দুঃখজনক; এখানে বলে রাখা ভাল, আমি দৈনিক নিউ এইজ এর কোন সাংবাদিক, সম্পাদক কিংবা ব্যবস্থাপকবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করি নাই, তবে সাংবাদিক রোমিও সম্পর্কে তাদের অবস্থান হয়তো সম্পূর্ণভাবে জেনেছি; অনেকেই মনে করছেন, আমি দৈনিক নিউ এইজ এর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু আমার সাথে কোন প্রকার অভিযোগ এবং অভিযোগের সমাধান নিয়ে দৈনিক নিউ এইজ এর কোন ব্যক্তিবর্গের কথা হয় নাই, আমার সেই অধিকার নাইও, আমাকে অনুরোধ করেছিল কিন্তু করা হয়ে উঠে নাই। আমার সাথে বর্তমানে এমন কোন দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকার ব্যক্তির সাথে সখ্যতাও নাই, দীর্ঘ দশ বছর পরে সম্মানিত সম্পাদকের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেছিলাম একজন প্রতিবাদী ভুক্তভোগীর অনুরোধে গত রোজার মাসে।
টার্মিনেশন চিঠিটি পড়েছি, প্রথম কথা হল, টার্মিনেশন চিঠিটি দৈনিক নিউ এইজ এর সম্পাদক নিজে স্বাক্ষর করেছেন, সাধারণত, একজন ব্যবস্থাপক লিখে থাকেন কিন্তু এইক্ষেত্র ভিন্ন; দ্বিতীয়ত, সাংবাদিক রোমিও সম্পর্কে অনেকগুলো অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযোগগুলোর কারনে তাকে টার্মিনেট করা হয়েছে; সেই সকল অভিযোগগুলোর শুনানি সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা আমি জানি না, তবে সেগুলো লিখিতভাবে করা হয়ে থাকলে মেমো নম্বর উল্লেখ করা হয়নি টার্মিনেশন চিঠিটিতে কিন্তু অল্প অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যমের সেগুলো সঠিকভাবে আইনত করা হয় না; দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকার চিঠি দেখে মনে হয়েছে অভিযোগে শুনানি হয়েছে কিন্তু সাংবাদিক রোমিও বর্তমানে কি বলেন তা জরুরি, আমরা তা জানি না, জানি কি? জানতে বা জানাতে চাই কি? কিন্তু যে বিষয়টি আমি মনে করি অন্যায় হয়েছে সেগুলো বলব; আইনত, টার্মিনেশন নোটিশে কিছু বিষয় পরিষ্কার করতে হয়, সেইগুলো করা হয় নাই; যদিও টার্মিনেশন চিঠিটি সম্মানিত সম্পাদক বলেছেন “অ্যাকাউন্টস বিভাগকে আইন অনুযায়ী আপনার বকেয়া নিষ্পত্তি করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুবিধাগুলি বিতরণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”।
অন্যদিকে, চিঠির ভাষা দেখে মনে হচ্ছে সাংবাদিক রোমিওকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিন্তু বরখাস্তের নোটিশে উল্লিখিত অসদাচরণগুলো প্রতিষ্ঠানের কোড অব কন্ডাক্ট এর কোন কোন ধারা ভঙ্গ করেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি; নোটিশে কিছু অসদাচরণ উল্লেখ করা হলেও সেগুলো নিয়ে অফিসের সিদ্ধান্তগুলির মেমো নম্বর উল্লেখ করা হয়নি; বরখাস্তের নোটিশের আগে কী তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে লিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল? একইসাথে, বরখাস্তের পর ওনার প্রাপ্য বকেয়া কী কী তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লিখিত হয়নি এবং বকেয়া প্রাপ্য পরিশোধের সুনির্দিষ্ট সময়/মেয়াদ উল্লিখিত হয়নি। বলে রাখা ভালো, বরখাস্ত, ছাঁটাই, চাকুরীর অবসানের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী কি ধরনের আর্থিক সুবিধা পাবেন সেটিও নির্ভর করে চাকুরী-দাতার সাথে চুক্তির উপর এবং এই ব্যাপারেও বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোন আইন নেই।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০১৩ সনের সংশোধনীসহ)- এর ধারা ২৬ কোন মালিক বা নিয়োগকর্তাকে তার অধীন কর্মরত শ্রমিক (বা কর্মীকে) টার্মিনেট করার সুযোগ দিয়েছে। তবে টার্মিনেশন কোন শ্রমিক বা কর্মীর কোন দোষের কারণে নয়; বরং সংশ্লিষ্টও নিয়োগকর্তা তার সুবিধায় তা করেন। তাই এইক্ষেত্রে দোষারোপ করা যাবেনা; উচ্চ আদালত বিভিন্ন মামলার রায়ে এমন রায় দিয়েছেন। এবার আসা যাক কাউকে তার চাকরি থেকে টার্মিনেট করলে পাওনাদি কি কি। এই গুলি হল (স্থায়ী শ্রমিক বা কর্মী হলে)-১২০ দিনের নোটিশ (বা তার বদলে মজুরী; এইক্ষেত্রে মূল-মুজরীর সমপরিমাণ)। টার্মিনেশন করা ব্যক্তির প্রতি বছর চাকরীর জন্য ৩০ দিন হারে মজুরী, বা গ্রাচুইটি যা বেশী হবে তা। অর্থাৎ ১০ বছর চাকরী হলে ৩০ দিনের মজুরী x ১০ হবে। কোন প্রতিষ্ঠানে পূর্ববর্তী ১২ মাসে অন্ততঃ ২৪০ দিন কাজ করলেই এক বছর ধরা হবে। আর মজুরীর হিসাব হবে- টার্মিনেশনের অব্যবহিত আগের ১২ মাসের পাওয়া মূল-মুজরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তর্বর্তী মজুরি (যদি থেকে) তার গড়। বকেয়া মজুরী, ছুটি, বন্ধ, অথবা ওভারটাইমের জন্য কোন পাওনা, অর্জিত ছুটি ভোগ না করে থাকলে তার বাবদ পাওনা; নিয়োগের শর্ত মোতাবেক বোনাস বা অন্য কোন পাওনা, ভবিষ্যৎ তহবিল থাকলে তার পাওনা; লভ্যাংশ থেকে পাওনা।একইসাথে, টার্মিনেট করা শ্রমিক (বা কর্মীকে) তার সার্ভিস বই (যদি থাকে) ফেরত এবং চাকরী-সংক্রান্ত সনদপত্র দিতে হবে (ধারা ৩১)। শ্রম আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী, চাকরী অবসানের পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাপ্য সকল পাওনা নিয়োগকারীকে পরিশোধ করতে হবে।
টার্মিনেশন চিঠিটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হল, “সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার কিছু পাবলিক পোস্ট যে বিষয়ে আপনার পর্যাপ্ত বুদ্ধিবৃত্তিক কমান্ড নেই তা একাধিকবার নিউ এজকে বিব্রত করেছে কেননা দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সংবাদপত্র যেটি মিডিয়া অনুশীলনের উচ্চ স্তরের নৈতিক মানকে আপস না করে পেশাদার সাংবাদিকতা অনুসরণ করে। এটা সত্য যে সম্পাদকীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা মৌখিক ব্যাখ্যা এবং সতর্কতামূলক পরামর্শের ভিত্তিতে, আপনি কখনও কখনও আপনার অযৌক্তিক পোস্টগুলি মুছে ফেলেছেন, তবে আপনার সামাজিক-মিডিয়ার কার্যকলাপের উপর সর্বদা নজর রাখা এবং এইভাবে, সুরক্ষা সম্পর্কিত নিউ এজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে এটি অসম্ভব। পত্রিকায় যথাযথ খ্যাতি যা এটি বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগের মাধ্যমে অর্জন করেছে”।
প্রথমত, আমি স্পষ্ট মনে করি, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামতের জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা বা ভয় দেখানো অপরাধ, নিম্ন্নমানে কর্মদক্ষতাওI
দ্বিতীয়ত, একজন সংবাদ কর্মীর ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায় তার নিজের, প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি একজন কর্মীর দ্বারা ধ্বংস বা নষ্ঠ করা যায় না, আইনত, মানহানিও কোন প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে করা যায় না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৈনিক নিউ এইজের কি কোন নির্দেশনা বা বিধি আছে? যদি থেকে থাকে, তবে নির্দেশনাসমূহ কতটুকু সংবিধানসহ অন্যান্য আইন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নীতি মেনে করা হয়েছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী প্রশ্ন করা যায়।বিশ্বের সকল দেশের উচ্চ স্তরের নৈতিক মানকে আপস না করা গণমাধ্যমের এই সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকে, কোন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের আছে কি? তবে আমি সাংবাদিক রোমিওসহ তিনজন সাংবাদিককে চিনি যাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখবার কারনে চাকরি হারিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীও, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী আছেন যারা বহিষ্কার হয়েছেনI আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি এবং আমার নিয়োগকর্তা নিয়ম বহিৰ্ভূত প্রশ্ন করায় আমি নিজে সেই সংগঠনে কাজ করা বন্ধ করেছি I
সুতরাং, আমার নিকট নিউ এইজ সম্পাদক কর্তৃক জারিকৃত বরখাস্ত সংক্রান্ত নোটিশ আইনত বিচার্য বিষয়, সাংবাদিক রোমিও এর বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ বিচার্য প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ, এবং আমার বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য রোমিও ভাইয়ের স্ট্যাটাসে রয়ে গেল কিন্তু তার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক যথেষ্ট ছিল।
ধোঁয়াশাপূর্ন বরখাস্ত সংক্রান্ত চিঠি বা নোটিশ আমাকে হতাশ করেছে, কেননা সাংবাদিক রোমিও এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং অভিযোগ গঠন এবং প্রতিউত্তর প্রক্রিয়া আপাততঃ আইনগত বিষয় বলে মনে করি, এবং সাংবাদিক রোমিও এর উচিত হবে আইনগত লড়াই করা, সেই লড়াইয়ে আমি তার বন্ধু।
দয়া করে বরখাস্ত সংক্রান্ত চিঠিটি আমার কাছে চাইবেন না, ধোঁয়াশাপূর্ন বরখাস্ত চিঠি বা নোটিশটি সাংবাদিক রোমিও এর মানবিক মর্যাদার বিষয়।
ফেসবুক পাতা থেকে: প্রকাশকাল: ১৭ মে ২০২৪
রেজাউর রহমান লেনিন, সমাজ রাজনৈতিক গবেষক, মানবাধিকার কর্মী