ভারতের মহারাষ্ট্রের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম মারা গেছেন। শুক্রবার থেকে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার মাস্কাট থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (বিজি-০২২) চালানোর সময় মাঝ আকাশে নওশাদ ‘বড় ধরনের হৃদরোগে’ আক্রান্ত হন। গত চার দিন ধরে তিনি ‘কোমায়’ এবং হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)-তে ভেন্টিল্যাশন সাপোর্টে ছিলেন।
একটি সূত্র জানায়, ‘তিনি (পাইলট) বেঁচে নেই। ভেন্টিল্যাশন সার্পোটে থাকা অবস্থায় আজ স্বাভাবিকভাবে তিনি মারা যান। পাইলটের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই তার ভেন্টিল্যাটন সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়।’
সূত্রটি আরো বলেন, গতকাল থেকেই ‘কোমা’ ও আইসিইউতে ভেন্টিল্যাশন সার্পোটে থাকা পাইলটের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল।
তিনি আরো বলেন, নওশাদের পরিবারের সদস্যরা এবং বিমানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসপাতালে তার মৃত্যু সনদের জন্য অপেক্ষা করছেন। সনদ পাওয়ার পর ঢাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে শীর্ষ কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে পাইলটের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করবেন।
হাসপাতালের অপর এক সূত্র জানায়, পাইলটের লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশটি ঢাকায় পাঠানো হবে। আর এ জন্য কিছু সময় লাগতে পারে।
রোববার দুপুরে নওশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিমানের বেশ কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার নওশাদের মৃত্যুর ঘোষণা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। তবে সোমবার তার লাইভ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়। মৃত্যু ঘোষণা করা হয়।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন পাইলটের চিকিৎসায় একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন চিকিৎসক দল গঠন করা হয়। দলটিতে ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস ডা. শুভ্রজিৎ দাসগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. বীরেন্দ্র বেলেকার ছিলেন।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম