ডেস্ক রিপোর্ট : কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩, রংপুরে ১ ও রাজধানীতে ২জন নিহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে চার শহরে বিজিবি মোতায়েন। মঙ্গলবার এ সব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরে ছররা গুলির অসংখ্য চিহ্ন পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা জানান, সেখানে সহিংসতায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, মঙ্গলবারের সহিংসতায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত এক ব্যক্তির নাম হাসপাতালের খাতায় ফয়সাল আহমেদ লেখা করা হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে। এর আগে দুইজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল চট্টগ্রামের পুলিশ।
এ দিকে ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫) নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকা সিটি কলেজের সামনে থেকে একজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ও সন্ধ্যায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম