ডেস্ক রিপোর্ট : পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবরটির তথ্যের সত্যতা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আজ কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদুল আরেফিনকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ ও আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন।
কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, ফয়েজ আহমদ নামের প্রধান এক সন্দেহভাজনসহ ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার শুরু করে নগরীতে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনারই মামলা দায়ের হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে রাস্তার উপর নির্মিত একটি পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ের উপর পবিত্র কোরআন দেখতে পান। বিষয়টি দেখে ৯৯৯-এ পুলিশকে মোবাইল ফোনে কল করে। এমন খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে পবিত্র কোরআন শরীফখানা সরিয়ে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে ধর্মগ্রন্থ অবমাননার এ বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে লোকজনের মুখে মুখে জানাজানি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সেখানে জড়ো হতে থাকে এবং সেখানে ক্ষুব্দ জনতার ঢল নামে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে যান এবং ক্ষব্দ জনতাকে শান্ত থাকার আহবান জানান। কিন্তু এতেও পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে থাকলে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি চালায়। আহত হয় পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। পরে বিক্ষোভ নগরীর কয়েকটি স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নগরীতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম