আফগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় বাংলাদেশি ১৫ শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে পারছেন না। তাঁরা প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছেন।
জানা যায়, চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীর আজ বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসার কথা। একই ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা আফগানিস্তানে আটকে পড়া এই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের।
দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশেীদের অন্যতম রাজীব বিন ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানান। পেশায় প্রকৌশলী রাজীব আফগান ওয়্যারলেসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালর করেছেন।
কাবুল থেকে রাজীব বলেন, ‘গত মঙ্গলবার আমাদের দেশের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে কাবুল বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেও মাঝপথে ফিরতে হয়েছিল। পরে বিমানবন্দরে এসে জানি, আজ আমাদের জন্য ক্লিয়ারেন্স রয়েছে।’
আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের একজন জানান, তাঁরা স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বেলা দুইটা থেকে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছেন। বিমানবন্দরে ঢোকার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশেষ ফ্লাইটে তাঁদের দেশে ফেরার কথা। এই বিশেষ ফ্লাইটটির সরাসরি চট্টগ্রামে অবতরণ করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থী আফগানিস্তানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর তাঁরা আটকে পড়েন বলে জানা যায়।
এর আগে গত রোববার আফগানিস্তানে আটকে পড়া ২৯ বাংলাদেশির মধ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কর্মরত ফারুক হোসেন ও মহিউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ সি-১৭-এর একটি ফ্লাইটে কাবুল থেকে কাতারে যান। একই দিনে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের তিন কর্মকর্তাকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাবুল থেকে কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি আফগানিস্তানের লোকজনও দেশ ছাড়ছেন। কিন্তু ফ্লাইট না থাকায় অনেকেই আটকা পড়েছেন।
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই