ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ জন। আর রাজশাহীতে মৃত্যু কমে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।
জানা যায়, মমেকে মৃতুবরণকারীদের মধ্যে চারজন করোনায় এবং ছয়জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চট্টগ্রামে ৩৩৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ নিয়ে চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৮২০ জন। এদিকে রামেকে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে করোনায় চারজন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বুধবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টার মধ্যে এরা মারা যান।
আজ বুধবার সকালে মমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে ইউনিটটিতে করোনায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন ময়মনসিংহের ও একজন করে নেত্রকোনা ও জামালপুরের বাসিন্দা। ওই সময়ের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে- ময়মনসিংহের চারজন এবং নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের একজন করে রয়েছেন।
ডা. মহিউদ্দিন আরও জানান, করোনা ইউনিটে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছেন ৩০৪ জন। এর মধ্যে ২২ জন আইসিইউতে আছেন। ওই সময়ে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন। এদিকে ময়মনসিংহ জেলায় এক দিনে ১ হাজার ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০১ জনের শরীরে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ১৮টি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২২৬ জন মহানগর এলাকা এবং ১১২ জন উপজেলা এলাকার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হাটহাজারী উপজেলায় ৩৩ জন। এছাড়া ফটিকছড়ি উপজেলায় ২৬ জন, রাউজান উপজেলায় ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে রাজশাহীর তিনজন এবং নাটোরের একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন নওগাঁর দুজন এবং রাজশাহী, নাটোর ও মেহেরপুরের একজন করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তিনজন মারা গেছেন হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ১ নম্বর ও ২৯/৩০ ওয়ার্ডে দুজন করে এবং নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন। আজ বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ২৬১ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ২৮৯ জন।
দ্যএডিটর৩৬৫/জেডআই