ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার বিকালে মোহাম্মদপুরে স্যার সৈয়দ রোডের নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারি পরিচালক ইমরান খান এ খবর নিশ্চিত করেছেন ।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে রাসেলের ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় আটক করা হয়েছে।পরে তাদের রাজধানীর কুর্মিটোলার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তরে রাখা হয়েছে।
এরআগে বুধবার গভীর রাতে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ইভ্যালির পণ্যের মূল্য বাবদ ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন গ্রাহক আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা। পণ্য ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের অঙ্গীকার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহকসেবা শাখায় (কাস্টম কেয়ার সেন্টার) যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু ইভালি তাকে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়।
পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর দু’বন্ধুকে নিয়ে আরিফ ধানমন্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির অফিসে যান।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অফিসের লোকজন উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। একপর্যায়ে অফিসের অভ্যন্তরে থাকা ইভ্যালির রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে মামলার বাদিকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন এবং পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম