দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)মোহাম্মদ রাসেলের বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়,দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছে দেনা বেড়ে এক হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ রাসেল হাজার কোটি টাকার দেনার তথ্য দিয়েছেন। এছাড়াও ইভ্যালির দায় ও দেনা সম্পর্কে নানা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, যেখানে তাদের সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন সংস্থার এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে রাসেল কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সর্বশেষ দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল রাসেলের।
এর আগে, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশীয় ই-কমার্স কোম্পানি ‘ইভ্যালি’। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ‘ইভ্যালি’।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম