শেষ মার্কিন সামরিক বিমান আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটেছে বলে। জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যমের।
কাবুলের স্থানীয় সময় গতকাল দিবাগত রাত ১২ টার কিছু আগে শেষ মার্কিন সামরিক বিমানটি (সি-১৭) হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
জেনারেল ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৩১ আগস্টের সময়সীমার মধ্যেই আফগানিস্তানের আকাশসীমা ছেড়ে দিয়েছে মার্কিন বাহিনী। তখন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় ছিল সোমবার বেলা ৩টা ২৯ মিনিট।
জেনারেল ম্যাকেঞ্জি আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক মিশন অবসানের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কাবুল থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে কাবুল থেকে সব মার্কিন মিশন সমাপ্ত ও সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হলেও সেখানে কিছু আমেরিকান থেকে গেছে। এবং আফগান নাগরিকদের যারা দেশত্যাগে ইচ্ছুক তদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় নি।
তিনি আরও জানান, এখন উপায় হলো কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে বাকি মানুষদের আফগানিস্তান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া। কাবুলের মাটিতে শেষ পর্যন্ত দাঁড়ানো ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৮২তম সামরিক এয়ারবর্নের অধিনায়ক জেনারেল ক্রিস্টোফার ডোনাহিউ ও আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রস উইলসন। উভয়ই কাবুল ত্যাগ করা শেষ মার্কিন সামরিক বিমানে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আফগানিস্তানে ঠিক কতজন মার্কিন নাগরিক এখনো আটকা পড়ে আছেন, এর কোনো হিসাব দেওয়া হয়নি। তবে এই সংখ্যা হাজারো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব লোকজন নিরাপদে কাবুল বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারার কারণে তাঁদের এ দফা সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
একইভাবে ২০ বছর ধরে নানাভাবে মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য করা সব আফগান নাগরিককে নিরাপদে কাবুল থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। তাঁদের সংখ্যা কয়েক হাজার। তাঁরা তালেবানের হাত থেকে বাঁচার জন্য দেশত্যাগে মরিয়া।
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই