মার্কিন সেনাবাহিনী পূর্ব আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইসলামিক স্টেট জিহাদী গোষ্ঠীর একটি শাখা আইএস-কে এর একজন পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে বলে তারা দাবি করছে।
আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে অবস্থানরত আইএস-কে গ্রুপের একজন ‘পরিকল্পনাকারীকে’ লক্ষ্য করে এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে বলে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আইএস-কে বলছে, তারা কাবুল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে যার ফলে ১৭০ জন মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৩ জন আমেরিকান সৈনিকও ছিল।
মার্কিন সৈন্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নানগাহার প্রদেশে যে ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাটি চালানো হয়েছে, তার মৃত্যু হয়েছে। এ হামলায় কোন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়নি।
তালেবান চলতি মাসের ১৫ তারিখে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকে কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে গণ-উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এই উদ্ধার তৎপরতা চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত।
গত দু সপ্তাহে সেখান থেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে হামলা চালায় আইএস-কে। আইএস-কে বা খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেট মূলত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি শাখা। এটি আফগানিস্তানের সব জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং সহিংস বলে জানা যায়।
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে পুরুষ, নারী এবং শিশুদের ভিড়ে বোমা বিস্ফোরণটি ঘটে। দেশ ছাড়ার চেষ্টা করা বেশ কয়েকজন আফগান ওই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা সেইসঙ্গে দুই ব্রিটিশ নাগরিক এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিকের শিশুও ছিলেন।
শুক্রবার হামলাকারীদের সতর্ক করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন। “আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবো এবং এজন্য তোমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।”
প্রায় ৫০০০ মার্কিন সেনা এখনও কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান করছে, যেসব আফগান নাগরিক তাদের দেশ ছেড়ে যেতে মরিয়া তাদের চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন তারা। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের পর আফগানিস্তানে এটিই প্রথম মার্কিন ড্রোন হামলার খবর।
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই