ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এখনো কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। এরই মধ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। টানা ১৯ দিন পর চলমান বিধিনিষেধ শিথিল হলো আজ। চালু হলো গণপরিবহন। আজ বুধবার থেকে ধারণক্ষমতার শতভাগ যাত্রী নিয়ে রাজধানীতে সংখ্যায় অর্ধেক গণপরিবহন চলাচল করছে।
এছাড়া সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ (১১ আগস্ট) সকাল থেকে চালু হয়েছে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। আদালত চালু রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
তবে সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকছে। এছাড়া বন্ধ থাকছে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরা অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সব ধরনের শিল্প কারখানা খোলা থাকবে। এছাড়া শপিং মল-মার্কেট-দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।
এদিকে বাংলাদেশ সডক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছ, মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক গাড়ি চলাচর করবে। প্রতিটি জেলায় স্থানীয় প্রশাসন এই সংখ্যা নির্ধারণ করবে। পরিবহণের মধ্যে দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না। এবং স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করবেন। ফলে করোনাকালীন যে ৬০ শতাংশ ভাড়ার বিধান ছিল সেটিও থাকছে না ।
এর আগে অর্ধেক পরিবহনে শতভাগ যাত্রী বহনের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তবে রাস্তায় অর্ধেক গাড়ি চলাচল নির্ণয় করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সডক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। তবে ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
দ্যএডিটর৩৬৫/ জেডআই