ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে আজ আইনমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা।
বিএনপির ১৫ আইনজীবী আজ সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর দপ্তরে এ স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি জানিয়েছেন, স্মারকলিপি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং মতামতের ব্যাপারে আলোচনা ও সময়ের প্রয়োজন আছে ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে বিএনপিপন্থী ১৫ আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারা আলোচনায় আমি এখন যেতে চাই না। আইনের বিষয়ে আমাদের মতপার্থক্য থাকবে। বিএনপির আইনজীবীদের সঙ্গে আইনের বিষয়ে আমারও মতপার্থক্য আছে। ওনারা যে ৪০১ ধারা, উপধারার কথা বলেছেন, সেখানে তারা বলেছেন ‘কোথাও বিদেশ যাওয়া যাবে না কথাটি বলা নেই’। সেখানে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বলা না থাকলেও একটা কথা বলা আছে সেটা হলো, শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত।
সেখানে দুটি শর্ত দেয়া হয়েছে। আমি সে আইনের দিকে যাব না। তারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন সেটা আমি অবশ্যই পর্যালোচনা করব। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের ব্যপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেটা আমরা করব।
তিনি বলেন, আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয় তখন ওনার পরিবার যে আবেদন করেছিল, সেটা মানবিক দিক বিবেচনায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোনো দাবি তুলতে হয়নি, প্রধানমন্ত্রী নিজেই করেছেন। সে ক্ষেত্রে মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মানবিকতা দেখাতে জানেন।
তিনি বলেন, আমি স্মারকলিপি নিয়েই যদি প্রিম্যাচিউরড কিছু বলি, সেটা সঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আমি এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করব।
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র এডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীনসহ ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), এডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমুর আলম খন্দকার, আবেদ রাজা, মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী ও ওমর ফারুক ফারুকী উপস্থিত ছিলেন।
দিএডিটর৩৬৫/এমআরএম